প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল বাগপাড়া এলাকায় একটি টিন শেড বাড়িতে গ্যাসের চুলায় মশার কয়েল জ্বালানোর সময় জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় আগুনে নবজাতক শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধদের দ্রুত উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হন সুখী আক্তার (৩২), (১৭% দগ্ধ) তার মেয়ে সাদিয়া (১০), বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), (১৫% দগ্ধ) ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুফাতো বোন রাহিমা আক্তার (৩২) (৪৫% দগ্ধ) ও রাহিমার মেয়ে ঋতু (১৩)। এতে সুখী আক্তারের ১৬ দিনের নবজাতক মুনতাহার শরীরে আগুনে আচ লেগে আহত হয়।
আইসিইউতে ভর্তি থাকা আশংকাজনক ৪৫% দগ্ধ রাহিমা ৫ দিন যাবত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ (সোমবার) সকাল ১১ টার দিকে তিনি মারা যায়। বিষয়টি সময়ের আলোকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া এলাকার একটি টিনশেড ভাড়া বাসায় গার্মেন্টস কর্মী সুখী আক্তার স্বামী সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
ঘটনার ১৬ দিন আগে সুখী আক্তারের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় মুনতাহা। সেই কন্যা সন্তানকে দেখতে সুখী আক্তারের স্বজনরা তার বাসায় বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন বুধবার দিবাগত রাতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুনের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নবজাতক শিশুসহ মোট ৭ জন দগ্ধ হয়।