প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সরকারি রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে বসানো হয়েছে বাজার। বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছে অবৈধভাবে। বাজারটি থেকে মাসে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে কমপক্ষে ৭ লক্ষাধিক টাকা। জনবহুল একটি এলাকায় সড়ক দখল করে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করলেও বাজার নিয়ন্ত্রনকারী আসলাম ওরফে বরিশাইল্যা আসলাম ও বাছেদের বিরুদ্ধে রহস্যজন কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকায় বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় ডিএনডি ক্যানেলপাড় দখল করে বাজার বসিয়েছে আসলাম ও বাছেদ। বাজারে কাঁচা তরিতরকারি, মাছসহ বিভিন্ন রকমের শতাধিক দোকান বসানো হয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ২ থেকে আড়াইশত টাকা করে দৈনিক কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। যা মাসে দাঁড়ায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা।
সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিছু দিন আগে ডিএনডি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাজারটি ভেঙে দিয়েছিলেন। পরে আসলাম ও বাছেদ সেনাবাহিনী ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতি দোকানদারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে অগ্রিম নিয়ে আবার বাজারটি বসিয়েছে। চাঁদাবাজরা দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করার মত মিথ্যাচার করে দোকানদের ধোকা ও সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে পকেট বাড়ি করছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাছাড়া বাজারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে,গুলজার, ওমর আলীর বাড়ি ও মুন নামক মুদি দোকানের আবাসিক মিটার থেকে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ৩০ টাকা করে বিল আদায় করা হচ্ছে। জানতে চাইলে আসলাম বলেন, আমি বাজার বসালেও সেনাবাহিনী ভেঙে দেওয়ার পর থেকে সরে গেছি। এখন কে বসিয়েছে তা জানা নেই। রিপোর্ট করার দরকার নেই এসে চা খেয়ে যায়েন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী বলেন, আবাসিক মিটার থেকে বাণিজ্যিক সংযোগ দেওয়া অবৈধ।
যদি কেউ এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে থাকে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সাহেবপাড়া এলাকায় রাস্তা দখল করে বাজার বসিয়ে চাঁদাবাজি করার বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন অভিযোগ কেউ করেনি। তবে তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।