প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভারাটিয়ার অফিসের ল্যাপটপ, ক্যামেরা সহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে শিহাচর বড়বাড়ী নিবাসী তক্কার মাঠ আলেকচান মার্কেটের মালিক মোঃ মজিবুর রহমান এর বিরোদ্দে। গত ৮ নভেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন তক্কার মাঠ আলেকচান মার্কেটের নিচতলায় ফতুল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে ফতুল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব মোঃ জহির আলম সিকদার বাদী হয়ে গতকাল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বিগত প্রায় ০১ বছর পূর্বে শিয়াচর তক্কার মাঠস্থ বিবাদীর আলেকচাঁন সুপার মার্কেটের নিচ তলার একটি অফিস ঘর অগ্রিম বাবদ- ২০,০০০/- টাকা প্রদান করিয়া এবং মাসিক ভাড়া- ৪,০০০/- টাকা নির্ধারণ করিয়া ভাড়া নিয়া উহাতে সাংবাদিকদের সংগঠন (ফতুল্লা সাংবাদিক ইউনিয়ন) সংগঠনের কাজ করিয়া আসিতেছিল। বাদী বিবাদীকে অফিস ভাড়ার রশিদ ও অফিসের একটি চুক্তিনামা করিয়া দেওয়ার জন্য বলিলে উক্ত বিবাদী আজ কাল করিয়া দিবে মর্মে টালবাহানা মূলক কথাবার্তা বলিয়া ঘুরাইতে থাকে।
বাদী মোঃ জহির আলম সিকদার আমাদের প্রতিবেদককে জানান বিবাদীকে প্রতিমাসের অফিস ভাড়ার টাকা প্রদান করার পরও বিবাদী আমাকে কোন ভাড়ার রশিদ না দিয়া টালবাহানা করিতে থাকে। মাঝে মধ্যে আমি বিবাদীর নিকট অফিস ঘর ভাড়ার চুক্তিনামা ও ভাড়ার রশিদ দেওয়ার জন্য বলিলে বিবাদী আমাকে কোন চুক্তিনামা ও ভাড়ার রশিদ না দিয়া আমার সহিত খারাপ আচরণ করতঃ আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করে। বিবাদী আমার নিকট ০১ মাসের অফিস ঘর ভাড়ার টাকা পাইবে।
সেই জের ধরিয়া অতিরিক্ত অগ্রিম ও ভারা গ্রহনের লক্ষে গত ইং- ৮ নভেম্বর সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বিবাদী সহ তাহার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আমাদেরকে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়া আমার ও আমাদের উক্ত সাংবাদিক সংগঠনের সকলের অজ্ঞাতসারে আমার অফিসের সাটারের তালা ভাঙ্গিয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া আমাদের অফিসে থাকা ১টি ডেল কোম্পানীর ল্যাপটপ, ১টি তোশিবা কোম্পানীর ল্যাপটপ, একটি ন্যাশনাল প্যানাসোনিক ৪কে ভিডিও ক্যামেরা, ১টি কেনন ডিএসএল আর ক্যামেরা, ১টি টাইপওয়েট, ১টি স্যাক্রেটারিয়াল স্পেশাল চায়না টেবিল,২টি স্পেশাল স্যাক্রেটারিয়াল ফুল্ডিং বড় চেয়ার, ৬টি স্যাক্রেটারিয়াল ফুল্ডিং মাঝারি চেয়ার, ২টি প্লাস্টিক চেয়ার, ১টি ষ্টীলের ওয়্যারড্রপ, ১টি সুপার ষ্টার সিলিং ফ্যান,১টি ওয়াইফাই রাউটার, সহ আমাদের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী সহ সকল মালামাল নিয়া যায়।এই সকল মালামালের বর্তমান মুল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই সাইফুল ইসলামের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষয়টি গুরুত্তের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এই বিষয়ে অভিযোক্ত মজিবরের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাহার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি