প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে আশিক মিয়াজী (১৭) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহত আশিক ঢাকা মাইলস্টোন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে মোঃ নেছার (১৬) নামে এক তরুণ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার চরমাছুয়া মেঘনা ধনাগোদা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আশিক চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার পাইকপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজীর ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর আশিকসহ দুই আরোহী একই মোটরসাইকেলে মতলভ দক্সিণ থেকে মতলব উত্তরে আসার পথে চরমাছুয়া নামক স্থানে দ্রুততির এই মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ছিটকে পড়ে যায়।
এসময় মোটরসাইকেলে থাকা দু’জনেই রাস্তার সেফটি গার্ড পোস্টের সাথে লেগে মারাত্মকভাবে আহত হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদও হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে আশিক মিয়াজীকে মৃত ঘোষনা করে। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে একই দিনে মতলব উত্তরের দূর্গাপুর ইউনিয়নের মুন্সিরকান্দি গ্রামের একই পরিবারের পিতা-পুত্র ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- মতলব থানার মুন্সীরকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে এফাজুল হক ও তার ছেলে মোস্তাকিম। তারা শনিবার সিলেট থেকে দেশে আসার পথে নরসিংদী রোডে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে হন নিহত এফাজুল হকের স্ত্রী মুক্তা আক্তার, ছেলে আশরাফুল প্রধান, মেয়ে ইলমা আক্তার। শনিবার রাতে নিহতদের জানাজা রশেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাগেছে। পিতা-পুত্রের এ মৃত্যুতে পরিবারের বইছে শোকের ছায়া। নিহতদের পরিবারের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে করে দুটি পরিবার সিলেটে মাজার জিয়ারতে গিয়েছিল। জিয়ারত শেষে তারা শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিল।
তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের শ্রীফুলিয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আর ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন নিহত হন। পরে ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।