প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)সংবাদদাতাঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অনিয়মের অভিযোগে ইসলামাবাদ আলীম মাদ্রাসায় চলমান দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে অব্যাহতি প্রদান করে নতুন কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অনিয়ম তদন্তে একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলমান দাখিল পরীক্ষায় ইসলামাবাদ আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে গত মঙ্গলবার (২ মে) আরবী-১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন কিল্লা বোকাইনগর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুস সাবুর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতায় লিখে দেয়।
এ বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা নিবার্হী অফিসার ফৌজীয়া নাজনীন উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুকুন উদ্দিনকে কেন্দ্র সচিব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কিল্লা বোকাইনগর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ছায়ীদুল হককে কেন্দ্র সচিব এবং হল সুপার শাহগঞ্জ মনির উদ্দিন মাদ্রাসার সুপার একেএম আব্দুল্লাহকে অব্যাহতি দিয়ে শিবপুর এল ইউ মাদ্রাসার সুপারকে হল সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এছাড়া এ অনিয়মটি তদন্ত করার জন্য রবিবার (৭ মে) তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার আহবায়ক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলাম সদস্য সচিব, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজ ইবনে আইয়ুব সদস্য। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সাবুরের মোবাইল নাম্বার (০১৯১১৯০৬৪৩৫) কল দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল ধরেননি।
অব্যহতিপ্রাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের হলসুপার শাহগঞ্জ মনির উদ্দিন মাদ্রাসার সুপার একেএম আব্দুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কোন মন্তব্য নাই। অব্যহতিপ্রাপ্ত কেন্দ্রসচিব থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে ইসলামাবাদ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুকুন উদ্দিন বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নিবার্হী অফিসার অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার ফৌজীয়া নাজনীন বলেন, ইসলামাবাদ মাদ্রাসার পরীক্ষাকেন্দ্রের অনিয়মের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ও হল সুপারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ও ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
