প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর বাতিলে পায়তারা ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহাত খান রুবেল।মনোয়ন যেনো বাতিল কয় সে জন্য ঋণ খেলাপির টাকা ব্যাংকে জমা দিতে গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ পক্ষের ইন্ধন ও প্রভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রাহাত খান রুবেল জানান, উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান এমিলি পারভীনের একটি ব্যাংকে ঋণের জিম্মাদার হয়েছিলেন তিনি।সে টাকা ব্যাংকে জমা না দেওয়ায় ঋণখেলাপীর কারনে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন বাতিল করেন। এবিষয়ে পরবর্তীতে আপীল করেন সে।২৬ফেব্রুয়ারি রবিবার আপীলের শুনানী। এর আগে বৃহস্পতিবার ব্যাংক ঋণের সে টাকা জমা দিতে দুপুরে উপজেলার যমুনা ব্যাংক শাখায় যায় রাহাত খান রুবেল।
দুপুর ২টার দিকে টাকা জমা দিলেও ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেলেও সন্ধ্যায় পর্যন্ত সে টাকা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত না করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বসিয়ে রাখে।বৃহস্পতিবারের পর শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় সঠিক সময় টাকা জমা দেওয়া নিয়ে শংকা তৈরি হয়।এতে মনোয়ন চূরান্ত ভাবে বাতিল হওয়ার উপক্রম হয়। মনোয়নন যেনো বাতিল হয় সেজন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের একটি পক্ষের প্রভাব বিস্তার করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে টাকা জমা নিতে বাধাগ্রস্ত করে।
একারনে ব্যাংক টাকা জমানিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ রাহাতখান রুবেলের।তিনি আরো বলেন,অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে ও ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পরবর্তীতে ব্যাংকে গিয়ে সন্ধ্যার টাকা জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।সময়মত টাকা জমা না দিলে মনোয়ন বাতিল হয়ে যেতো।আপলী শুনানিতে আমার মনোনয়ন বৈধ হবে আশা করি।এর আগেই বিভিন্ন পায়তারার করে একক ভাবে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হতো চায়।এই কারনেই প্রভাব বিস্তার করেছে সে।আমি একটি শান্তিপূর্ন নির্বাচনের দাবি করি প্রশাসনের কাছে। জনগন যেনো ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়।
এবিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও যমুনা ব্যাংকের টংঙ্গীবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক আতিক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ ফোন ধরেননি।ব্যাংকের মুন্সীগঞ্জের জোনাল শাখার দায়িত্বে থাকা আনোয়ার আলী বলেন,টাকা জমা নিতে গড়িমসি করা হয়নি।
ওই প্রার্থী টাকা জমা দেওয়ার পর বিষয়টি আমরা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরই সেটি নিশ্চিত করে এনওসি (অনাপত্তিপত্র পত্র)তাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে।এখন আর এবিষয়ে তার সমস্যা থাকার কথা নয়।