৭ বছর ধরে বেতন ভাতা বঞ্চিত বন্দরের নারী গ্রাম পুলিশ জোস্না

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নিজের পক্ষে কাজ করতে গ্রাম পুলিশ জোস্না বেগমকে নির্দেশ দিয়েছিলেন  বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন। জোস্না বেগম তার নির্দেশে কাজ করেননি।মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তার রোষানলে পড়েন জোস্না বেগম।

চেয়ারম্যান হয়েই বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে গ্রাম পুলিশ জোস্না বেগমের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন মাকসুদ হোসেন। এভাবে বেতনভাতা বিহীন কেটে গেছে ৭ বছর। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন জোছনা বেগম। এ নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। কিন্তু  কোনো ফল পাননি। এ নিয়ে তার আক্ষেপের শেষ নেই।

শুক্রবার বন্দর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে  গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মাকসুদ চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়ে নিজের দুর্বিষহ জীবনের কথা তুলে ধরেন  জোসনা বেগম।  কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মাকসুদ চেয়ারম্যান আমাকে তার পক্ষে মাঠে কাজ করার কথা বলেন। তার কথায় রাজি না হওয়ায় তিনি  নির্বাচিত হয়েই পরিষদে প্রবেশে বাঁধা  দেন। এরপর বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন।

বন্দর থানায় নিয়মিত হাজিরা দিয়েও সাত বছর ধরে আমি কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছিনা। বেতন না পেয়ে আমি পরিবার পরিজন  নিয়ে  মানবেতর জীবনযাপন করছি।তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশদের মাঝে  বিভিন্ন সময় সাইকেল ও পোশাক বিতরণ করা হলেও মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরোধিতার কারণে  সরকারি সাইকেল ও পোশাক দেওয়া থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

বিষয়টি  জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও এ পর্যন্ত কোনো সুফল পাইনি।এ ব্যাপারে  বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে  ঘটনাটি জানতে পারলাম। এর  তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুছাপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সরকার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here