সিদ্ধিরগঞ্জের শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

0
সিদ্ধিরগঞ্জের শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ওসদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।অনৈতিক কর্যকলাপ, অসদাচরণ, ভর্তি, কোচিং বাণিজ্য ও তার পদটিকে ভুয়া অখ্যায়িত করে অপসারণ দাবিতে মোঃ জহির উদ্দীন মন্ড নামে একজনগত ২৯ নভেম্বর অভিযোগটি করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিধিমোতাবেক বিদ্যালয়টির সহকারিপ্রধান শিক্ষক ছিলেন মো: কামাল হোসেন। তিনি তার ছোট বোনেরবিয়ে উপলক্ষে তিনদিনের ছুটি গেলে শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুন স্কুলপরিচালনা কমিটির লোকজন ও প্রধান শিক্ষককে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েভারপ্রাপ্ত সহাকারি প্রধান শিক্ষিকা হয়ে যান। যা এখনো বিধিমোতাবেক কার্যকর হয়নি। তবে তিনি বেতন ভাতাসহ সহাকারি প্রধানশিক্ষিকা হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। এছাড়াওপ্রতিবছর সেসন ফি, কোচিং, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেজরিমানা আদায়, বাধ্যতামূলক স্কুল ডায়েরী বিক্রিসহ বাণিজ্য শুরুকরেন। শিক্ষকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল, অসাদচরণ করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

আওয়ামীলীগ নেতা হাজী কপিল উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি ওবিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির ভুয়া সভাপতি সামছুল আলম ওরফেগোধুলী আলমের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় দিলরুবা খাতুন দাপটের সাথেঅনিয়ম করে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়টির নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: বশির উদ্দিন। সরকারিভাবে তার নামেইবেতন হচ্ছে। কিন্তু বশির উদ্দিনের চেয়ার দখল ও তাকে তার প্রাপ্য অধিকারথেকে বঞ্চিত করে চেয়ার দখল ও সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেনদিলরুবা খাতুন। সাধারণ শিক্ষিকা হিসেবে দিলরুবা খাতুন সরকারিভাবে বেতন পাচ্ছেন ২৭ হাজার ৮০০ টাকা আর স্কুল থেকে পাওয়ার কথা ৮হাজার নিচ্ছেন ১৪ হাজার টাকা।

দিলরুবা খাতুনের বয়স চলে ৪৮ বছর।এখনো তিনি বিয়ে না করা নিয়েও স্কুলে নানা গুঞ্জন রয়েছে। এবিষয়ে দিলরুবা খাতুন বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালনকরছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে আমি এ দায়িত্ব ছেড়ে দিব। তবে ঘুষ দিয়েপদে গ্রহণ ও অনৈতিক সুবিধা দিয়ে টিকে থাকার অভিযোগ সঠিকনয় বলে দাবি করেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোনকরলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দাবিদার সামছুল আলমকে ফোন করলে তারমোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তারিখ : ৩০-১১-২০২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here