প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী গ্রামে গত মঙ্গলবার ১৮.০১.২০২২ ইং তারিখে এক মহিলার গর্ভপাত ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ওই মহিলার স্বামী মোঃ মফিজুর রহমান বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে ১৩ জানুয়ারী রাতে বোয়ালমারী থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৩ জানুয়ারী বেলা আনুমানিক বারটার দিকে সাহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০) ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে পান্থ বিশ্বাস (১৮) আমার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাড়িতে আমার স্ত্রী মারুফা (২৫) একা থাকায় সে গালিগালাজ নিষেধ করতে বললে তাসলিমা এসে আমার তিন মাসের গর্ভবতি স্ত্রীর পেটে লাথি মারতে থাকে এবং তার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেন যার আনুমানিক মূল্য ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
লোকজনের সোর চিৎকার শুনলে আমি বাজার থেকে বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে পান্থ বিশ্বাস আমাকে কিল,ঘুষি মারে এবং আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আমার স্ত্রী মারুফার পেটে লাথি মারার জন্য প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার বেগতিক দেখে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত ভর্তি থাকে। বাড়িতে আনার পরের দিন আবার রক্তক্ষরণ হয় তখন ফরিদপুর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করালে ১৮ জানুয়ারী বাচ্চাটি অপসারণ হয়।
জানতে চাইলে থানার উপপরিদর্শক মো. আক্কাস আলী শেখ বলেন, মফিজুর বিশ্বাস অভিযোগ করলে তদন্ত করেছি এবং দুই পক্ষকে বসার জন্য একটা সময় দিয়েছি। এদিকে ভুক্তভোগী মারুফা বলেন,তাসলিমার বোন বড় সরকারী চাকুরী করার সুবাদে নানা অপকর্ম করেও পার পেয়ে যায়। আমার সন্তানকে তাসলিমা মেরে ফেলেছে আমি কোর্টে হত্যা মামলা করব, আমি আপনাদের লেখনির মাধ্যমে ওর বিচার চাই। যাতে অন্য কোন নারীর আর ক্ষতি করতে না পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহানারা,নাজমা,সালেহাসহ অনেকেই বলেন, তাসলিমা এখানকার মেয়ে হওয়াতে অনেকটাই উশৃংখল, কোন কিছু মানতে চায়না। তাসলিমা বলেন, আমি ওদের মারি নাই ওরাই বরং ওই বাড়িতে গেলে আমাকে ও আমার ছেলেকে মেরেছে। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, ঘটনা শুনেছি ২২ তারিখে বসার কথা আছে বলেও শুনেছি।