শরীয়তপুরে স্কুল ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় ৪ ছাত্র গ্রেফতার

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ শরীয়তপৃুর সদর উপজেলার ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউটের ছাত্রিদের উত্যক্ত করার দায়ে ৪ স্কুল ছাত্রকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পালং মডেল থানা সূত্র ও ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউটের ছাত্রির অভিভাবক জানান, ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউটের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রি ( সীমা ও মীম) প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে একই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণীর ছাত্র সম্রাট মাদবর, ও সৌরভ মাদবর এবং ৯ম শ্রেনীর ছাত্র সজিব মাদবর, ইব্রাহিম মাদবর রাস্তা ঘাটে যাতায়তের সময় কটুক্তি করে। মাঝে মধ্যে ছাত্রিদেরকে কুপ্রস্তাব দেয়। ছাত্রিরা এ প্রস্তাবে রাজি না থাকায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনার জানাজানির পর ছাত্রিদের অভিভাবক বখাটে কিশোরদের অভিভাবকদের জানানোর পরে ও ও তারা নিবৃত হয়নি।

বরং বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রি (মীম) তাদের বাড়ির টয়লেটে গেলে ঐ সময় সংঘবদ্ধ বখাটে কিশোররা তাদের বাড়ি ঢুকে টয়লেটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে শ্লীলতহানির হুমকি দেয়। ছাত্রির আত্নচিৎকারের পরে তারা চলে যায়। এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতে ছাত্রির বাবা ইয়াকুব সরদার বাদী হয়ে সজিব মাদবর, সম্রাট মাদবর, ইব্রাহিম মাদবর ও সৌরভ মাদবর কে আসামী করে ৩৪২/৩২৩/৫০৬ তৎসহ ১০ ধারায় পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঐ রাতেই তাদেও নিজ নিজ বাড়ি থেকে ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে কোর্টে সোপর্দ করেছে।

এ ব্যাপারে ছাত্রির বাবা ইয়াকুব সরদার বলেন, আমার মেয়েদেও কে স্কুলে যাওয়ার পথে সজিব মাদবর, সম্রাট মাদবর, ইব্রাহিম মাদবর ও সৌরভ মাদবর প্রতিনিয়ত কটুক্তি ও খারাপ প্রস্তাব দেয়। আমি তাদেও বাড়িতে জানানোর পরেও থামেনি। বরং আমার বাড়িতে ঢুকে টয়লেটের বাইরে থেকে বন্ধ কওে দেয়। আমি পালং মডেল থানায় মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই। ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কবিরাজ আঃ খালেক বলেন, এ ব্যাপারে ছাত্রির বাবা আমার কাছে জানিয়েছিল বলে মনে হয়। অন্যায় কারী সে যেই হোক তাকে শাস্তি পেতে হবে। এরা অন্যায় করে থাকলে তাদের ও শাস্তি পাওয়া দরকার।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পালং মডেল থানার এসআই আতিয়ার রহমান বলেন, ছাত্রির বাবা ইয়াকুব সরদার বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here