প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলন ঘিরে নতুন নেতৃত্বের স্বপ্ন দেখছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের নতুন নেতৃত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন যারা তারা হলেন, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী। তিনি একাধিক বার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদে আলোচনায় রয়েছেন তিনিও । দলের দু:সময়েও দল ও আওয়ামী লীগের সভাপতির পাশে থেকে কাজ করে গেছেন তিনি।
প্রার্থীতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যারা কাজ করবে তারাই নেতৃত্বে আসুক। যাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ও কমিটির বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর যাদের অহংকার বেড়ে যায়, কর্মীদের যারা লেবার মনে করে, সাধারণ মানুষের সাথে যাদের সম্পর্ক নেই, তারা যেনো কোনো ভাবে সংগঠনের দায়িত্ব না পায়। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায়, যারা নির্লোভ-ত্যাগী, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সর্ম্পক রয়েছে, যারা রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে আওয়ামী লীগ ও নৌকার ভোট বাড়বে তারাই সংগঠনের দায়িত্বে আসুক।
নেতৃত্বের দৌড়ে আরও এগিয়ে রয়েছেন মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া। তিনি ছাত্র রাজনীতির অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন আওয়ামী লীগের দু:সময়ে। যখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিলো। এজন্য তাকে প্রতিক্ষের হাতে অত্যাচার নির্যাতন ও হামলা-মামলারও স্বীকার হতে হয়েছে। ইসহাক মিয়া বলেন, আমাদের সময় ছাত্র রাজনীতি এত মসৃণ ছিলো না। বিরোধী দলে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। এ কারণে নির্যাতনের স্বীকারও কম হইনি। স্বেচ্ছাসেবক লীগে তারাই দায়িত্বে আসুক যাদের ক্লিন ইমেজ, দলের জন্য ত্যাগ রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগের মুল্যায়ন করবেন বলে আমি মনে করি।
এ যাত্রায় আরও এগিয়ে রয়েছেন স্বেচ্চাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আমরা এই সম্মেলনকে স্বাগত জানাই। আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যাদের ইমেজ ক্লিন, শুদ্ধি অভিযানের মতই যাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুদ্ধ তারাই নেতৃত্বে আসুক। তাহলে শুদ্ধ রাজনীতির চর্চা পুনরায় শুরু হবে। এছাড়াও আরও আলোচনায় রয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন।