প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরাফাত খান (২২) নামের এক যুবককে টেটা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা হাবিব উল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরাফাত খান শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরগাছা গ্রামের জলিল খানের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক খানের ভাতিজা। ঐ যুবক পেশায় একজন হাঁসের খামারী। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরগাছা গ্রামের জলিল খানের ছেলে আরাফাত খান (২২) শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় তার বন্ধু হাবিবুল্লাহকে নিয়ে কচুপাত্রা পুরাতন বাজারের শহিদ সিকদারের দোকানের পাশে দাড়িয়ে গল্প করছিলেন।
এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সাথে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের শহিদ সিকদার এবং তার ছেলে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরাফাত সিকদার, সোহেল সিকদার এবং ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী আরাফাত খানের উপর হামলা করে। হামলার একপর্য়ায়ে আরাফাতকে মাছ ধরা টেটা দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
এসময় তার বন্ধু হাবিবুল্লাহ আরাফাতকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আরাফাতের উপর হামলার সময় ঘটনাস্থলে অনেক লোক থাকলেও তারা ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি। স্বজনরা খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় অরাফাত এবং হাবিুল্লাহকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান আরাফাত খানকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং হাবিবুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন।
নিহত আরাফাতের বাবা আব্দুল জলিল খান বলেন, শহিদ সিকদার তার ছেলে আরাফাত সিকদার, সোহেল সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদার তারা এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। বিনা কারনে মোর পোলাডারে খুন করেছে। আমি এই হত্যা কান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। নিহত আরাফাত খানের মা ছালমা বেগম কান্না গড়িত কন্ঠে বলেন, মোর বুকটারে কির লইগ্যা অরা খালি করছে। মুই অগো বিচার চাই। শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক খান জানান, নিহত আরাফাত খান আমার চাচাত ভাইয়ের ছেলে।
পূর্বশত্রুতার জের ধরেই শহীদ সিকদার তার ছেলে ও ভাতিজা মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, নিহত আরাফাত খানের মাথায় ২টি, পেটে ১টি ও পিঠে ১টি এবং ডান হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল দেখা গেছে।
তালতলী থানার ওসি মো. শাহ জালাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।