প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন,
দেশকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে দেশ প্রেমিক হতে হয়, তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেখিয়ে গেছেন। দেশের ক্রন্তিলগ্নে বারবার জিয়াপরিবার দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধেও জিয়াউর রহমানই দাঁড়িয়েছিলেন।
স্বাধীনতার পর দেশ যতবার সংকটে পড়েছে জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে, যত স্বৈরাশাসক তৈরি হয়েছে, তাদের পতনেও জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে, জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেও জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে। তাই বিএনপির যারা জিয়ার আদর্শ বিশ^াস করেন, তারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। স্বেরাচারের দোসরদের আশ্রয় দিয়ে কেউ নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। যারা স্বৈরাচারের দোসরদের আশ্রয় দিবে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার(১৯ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর গ্রীণ গার্ডেন পার্টি সেণ্টারে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মামুন মাহমুদ বলেন, সেনা বাহিনীতে বিদ্রোহ করলে কি পরিণতি হয়, তা জেনেও জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।
পাকিস্তান সরকার যেন যে যুদ্ধকে সেনা বিদ্রোহ বলে দমন করার সুযোগ না পায়, তাই যুদ্ধকে সামরিক ও রাজনৈতিক রূপ দিয়ে সারাবিশে^র স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য, নিজের চিন্তা চেতনা থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সৎভাবে জীবন যাপন করা সবচেয়ে উত্তম।
অবৈধ পথে কেউ অর্থ কামিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করার চেষ্টা করবেন না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা বলেন, জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তৎকালিন সময়ে জেয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর সাধারণ একজন মেজর ছিলেন। আওয়ামী লীগের এত নেতা এমপি থাকতে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে জিয়াউর রহমানকে কেন স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হলো। প্রকৃতপক্ষে তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সাহস আওয়ামী লীগ নেতাদের ছিলনা।
তখন যদি শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন, তাই হত। তিনি কেন নিজে ঘোষনা দিলেন না। তার পক্ষে কেন জিয়াউর রহমানকে ঘোষনা দিতে হল। আসলে জুলাই আন্দোলনে আবু সাঈদ যেভাবে রাজপথে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক টান করে দাঁড়িয়ে পড়ে ছিলেন, ঠিক ৭১ সালেও জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ প্রকৃত সত্য গোপন করে তাদের মনগড়া ইতিহাস লিখেছে।
জিয়াউর রহমানকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ কাউকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেন না। বিএনপিকে ভেঙে কান কান করার জন্য স্বরাচার হাসিনা সরকার বিনা কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাবন্দি করে রেখেছ্ েতাকে চিকিংসা পর্যন্ত করতে দেয়নি।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নিজ উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, যুগ্ন আহ্বায়ক অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্নআহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামছুদ্দিন প্রধান, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্নসম্পাদক মেহেদী হাসান ফারহান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সভাপতি শাহ আলম মাস্টার, ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল রহমান সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ রুবেল, যুবদল নেতা ফজলু হক কন্ট্রাক্টর, নোমান ও শেখ মোহাম্মদ শিপু প্রমুখ।