অনাবিল পরিবহনের চাপায় শিক্ষার্থী নিহত,ঘটনার জেরে ৮টি বাসে আগুন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চালকের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় কোনো সুযোগসন্ধানী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাসে আগুন দিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাতে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।

তিনি বলেন, ঘটনার পর চালক পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে। তিনি বর্তমানে থানায় আছেন। বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ৮টি বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, আমরা যতদূর জানি উত্তেজিত জনতা এসব আগুন ধরিয়েছে। তবে কোনো সুযোগসন্ধানী কেউ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাসে আগুন দিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। এছাড়া কতগুলো বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা পরে জানানো হবে।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, আমরা নিহতের ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন তারা ভাঙচুর বা আগুন দেননি। অন্য কেউ এসে এসব করেছে। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।বর্তমানে রামপুরা-মালিবাগের সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ডিসি বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে আসছে। তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর সড়কটি খুলে দেওয়া হবে।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে ১২টি গাড়ি বিধ্বস্ত অবস্থায় পেয়েছি। এর মধ্যে চারটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে ও বাকি আটটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ করে আটটি গাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নির্বাপণ করে।

আগুনে বাসগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থীর মাঈনুদ্দিন রামপুরা একরামুনেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় থেকে চায়ের দোকান চালান মাঈনুদ্দিনের বাবা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here