সাকরাইন উৎসবে মেতেছে পুরান ঢাকা বাসী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিশেষ প্রতিনিধি:সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে হরেক রঙের আলোকছটা। উড়ছে ফানুস, সঙ্গে বাজছে লাউড স্পিকারে গান। গানের তালে তালে জ্বলছে ডিস্কো লাইট। দিনে ঘুড়ি উৎসব শেষে সন্ধ্যায় অন্যরকম মাত্রায় চলে সাকরাইন উদযাপন। পৌষকে বিদায় দেওয়ার এই মাহেন্দ্রক্ষণে সামিল হয় পুরান ঢাকার লাখখানেক মানুষ। পুরান ঢাকার এমন কোনও ছাদ বাকি থাকে না, যেখানে মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে না।

এবারই প্রথম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ১৪২৭ বঙ্গাব্দের ৩০ পৌষ ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকার আকাশে হাজার হাজার ঘুড়ি ওড়ানো হল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দুপুরে পুরান ঢাকার পাতলা খান লেনে ডিএসসিসি সাকরাইন ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ সময় নিজেও ঘুড়ি উড়ান ব্যারিস্টার তাপস।

উৎসবের উদ্বোধন করে তিনি বলেন আমাদের লক্ষ্য ঢাকার ঐতিহ্যকে লালন করা, সংরক্ষণ করা, পালন করা। সেই লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন থেকে প্রত্যেক বছর এই আয়োজন করবে। এর মাধ্যমে আমরা ঢাকার সকল সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে পারবো।
পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান মিজু সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এ উৎসব আমাদের পুরান ঢাকার লোকেদের কাছে এটা একটি বিশষ উৎসব। প্রতি বছর আয়োজন অনেক বিশাল করে হলেও করোনার কারনে এবারে অনেকেই আয়োজন ছোট করেছে। এমনকি আমিও অনেক লোকেদের দাওয়াত করতে পরিনি।
মিজু আরো বলেন, প্রতি বছর সাকরাইনের এই উদযাপন দুই ভাগে পালন করেন তারা। প্রথম দিন অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি সুত্রাপুর, লক্ষ্মীবাজার, গেন্ডারিয়া, জুরাইন এলাকার মানুষ সাকরাইন উদযাপন করেন। আর পরের দিন ১৫ জানুয়ারি শাঁখারিবাজার, তাঁতিবাজার, লালবাগ, বংশাল, নাজিরাবাজার এলাকার মানুষ সাকরাইন পালন করেন।
পৌষ মাসকে বিদায় দিতেই আয়োজন করা হয় পৌষ সংক্রান্তি। সংক্রান্তি থেকে উৎপত্তি হয়েছে সাকরাইনের। তাই এ সময় সাকরাইন উৎসব পালন করে পুরান ঢাকার লাখো মানুষ। দুপুর থেকে শুরু হয় ঘুড়ি উৎসব। আর সূর্য ডোবার আগ থেকে শুরু হয় আলোকসজ্জা, আতশবাজি আর গানবাজনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here