নৌকা হাজার হাজার না, লক্ষ লক্ষ ভোটে পাস করবে : মাহি চৌধুরী

0
নৌকা হাজার হাজার না, লক্ষ লক্ষ ভোটে পাস করবে : মাহি চৌধুরী

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহি
বলেছেন, আগামী ৭ তারিখ ভোট, আর তিনদিন। একদিনে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আমাদের আছে তিনদিন। আমাদের ভাগ্যে কি আছে জানি না। তবে এখানে যেমন এখন আপনারা বসে আছেন তেমনটা থাকলে নৌকা হাজার হাজার না, লক্ষ লক্ষ ভোটে পাস করবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পাঁচআনী দেওয়ানকান্দীতে আয়োজিত নৌকার পক্ষে উঠান বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

চাঁদপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের পক্ষে এই উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সম্পর্কে আশফাক চৌধুরী মাহির দাদা। বৈঠকে মাহি চৌধুরী আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে দায়িত্ব দিয়েছেন, নৌকাকে পাশ করিয়ে আনতে হবে, মতলবের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে হবে, এলাকার উন্নয়ন করতে হবে -এবার এটা আমরা বাস্তবায়ন করব।

এমনভাবে বাস্তবায়ন করব, পরবর্তীতে আমরা আসি, কি না আসি, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না, আমরা সব ধরনের উন্নয়ন করে যাব। এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ৭ তারিখ সারাদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। ঘরে ঘরে নৌকার প্রচার করতে হবে।বিগত পাঁচ বছরে এলাকার চিত্র তুলে ধরে আশফাক চৌধুরী মাহি বলেন, আমার দাদা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অনেক বড় নেতা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি ৩০ বছর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মন্ত্রী ছিলেন, এমপি ছিলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা – সবচেয়ে বড় পরিচয় এটা; বীরবিক্রম – খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। এত সম্মান। কিন্তু তারপরও কিছু মুখোশধারী আওয়ামী লীগের লোকজন আছে যারা মনে করে একজন বীরবিক্রমের সঙ্গে পাঞ্জা লড়বে এবং জিতবেও। এত সোজা না। তিনি বলেন, যে মোহনপুরে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়ি – বীর মুক্তিযোদ্ধা; যে মোহনপুরে শামসুল হক চৌধুরী বাবুলের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় এখানে একটা কুখ্যাত রাজাকার সন্তানও আছে। যে রাজাকার সন্তানের বিপক্ষে আপনারা প্রত্যেকে লড়াই করেছেন, নির্যাতিতও হয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যদি কেউ আওয়াজ তুলে থাকে সেটা এই ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হয়েছে। মাহি চৌধুরী বলেন, এই মতলবে আজ রাজাকার এসেছে। তাদের উদ্দেশ্য নৌকাকে পরাজিত করা। যখন চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছে, আপনারা দেখেছেন টাকার ছড়াছড়ি। কিন্তু টাকা দিয়ে আদর্শ কেনা যায় না।তিনি বলেন, মতলবে নৌকা যতবারই ক্ষমতায় আসে, উন্নয়ন হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ষড়যন্ত্র করে সরানো হয়।

এই সময়ে কোনো উন্নয়ন হয়নি। থানাতে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে তার চেয়েও বেশি মামলা হয়েছে। মাহি চৌধুরী আরো বলেন, আমরা যখন নৌকা পাই তখন দেখি অনেকের আর খবর নাই। পোস্টধারী ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আছে, যারা দিনে বলে নৌকা আর রাত হলে চলে যায় অন্যখানে। আমরা সবই দেখি, কিন্তু কিছু বলব না। কারণ যার নীতির ঠিক নাই তার সঙ্গে কী কথা। নিজের বাবার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমার বাবা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু।

যখনই কোনো সভা-সমাবেশ হতো, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতো তিনি থাকতেন সবার আগে। আমার দাদা ছিলেন চেহারা, কিন্তু তার ছায়া ছিলেন আমার বাবা। আজ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মতলবে যে অবস্থান তার জন্য সম্পূর্ণ ক্রেডিট দিতে হয় আমার বাবাকে। মাহি চৌধুরী বলেন, আমার বাবা ব্রেনস্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেছেন। আমার ঘা এখনো কাঁচা, এখন আমার শোক পালন করার কথা। তারপরও আপনাদের স্বার্থে, মতলবের উন্নয়নের স্বার্থে আমি এখানে এসেছি, আমার দাদা সারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

আমার বাবার স্বপ্ন, তার বাবাকে এমপি-মন্ত্রী হিসেবে দেখার – সেই স্বপ্নটা আমাকে বাস্তবায়ন করতে হবে।বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মতলব উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here