প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, সাবেক মন্ত্রী ও দলের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ছেংগারচর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন মতলব উত্তর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা ও মায়া চৌধুরীর সহধর্মিনী পারভীন চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মায়া চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিনী সুবর্ণা চৌধুরী বীণা।প্রধান অতিথির বক্তবে পারভীন চৌধুরী বলেন, আজ একমাসও হয়নি আমার বড় ছেলে, আপনাদের সবার প্রিয় সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু মারা গেছে।
কিন্তু তারপরও আমরা আমাদের বুকে পাথর চাপা দিয়ে তার বাবার জন্য ভোট চাইতে আপনাদের কাছে এসেছি। দিপু দিনের পর দিন আপনাদের জন্য এতো কাজ করে করে গেছে, তা আমি জানতেই পারিনি। আজ আমি তার জন্য গর্বিত মা। কারন, সে আপনাদের জন্য এতো করেছে, যা কখনো আমাকে জানতেও দেয়নি। পরিবারের সবাইকে না জানিয়ে সে আপনাদের জন্য কাজ করে গেছে।তিনি বলেন, দিপুর কিছু স্বপ্ন-পরিকল্পনা আপনাদের জানানোর জন্যই আজ তার স্ত্রীকে পাশে নিয়ে আমি এসেছি। আমার ছেলের স্বপ্ন এই মতলব নিয়েই ছিলো। এই মতলবে সে অনেক কিছু করতে চেয়েছে তার বাবাকে দিয়ে। নিজের এমপি-মন্ত্রীর হওয়ার লোভ কখনো দিপুর ছিলো না।
তার টাকা পয়সার লোভ ছিলো না। তার একটাই পরিকল্পনা ছিলো, আর সেটা মতলবের উন্নয়ন করা। মতলবের মানুষের সেবা করা। আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেবাই করে গেছে আমার ছেলে। আমার আজকে আপনাদের কাছে শুধু একটাই চাওয়া আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারী দিপুর প্রতি ভালোবাসায় একটি করে নৌকায় ভোট দিয়ে দিপুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সুযোগ দিবেন। পারভীন চৌধুরী বলেন,৭ জানুয়ারি ভোট উৎসব। সেই উৎসবে সবাই আমার দিপুর স্বপ্ন পূরণে নৌকা মার্কায় তার বাবাকে ভোট দিবেন। আজকে আমার স্বামী বঙ্গবন্ধুর নৌকা, শেখ হাসিনার নৌকা নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছেন।
তাকে ভোট দিয়ে আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ করবেন। মায়া সাহেবকে ভোটে জিতিয়ে আপনাদের জন্য কাজ করার সুযোগ দিবেন।উঠান বৈঠকে প্রধান বক্তা প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিনী সুবর্ণা চৌধুরী বীণা সুবর্ণা চৌধুরী বীণা বলেন, এই মতলবের মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠন নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। এই মতলব উত্তর-দক্ষিণের যতগুলো সংগঠন আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ। এই মহিলা লীগ যে কতোটা শক্তিশালী তা আজকের উপস্থিতিতেই প্রকাশ পায়। এই মহিলা লীগ দিয়ে আমরা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আর পুরুষের ভোটগুলো হচ্ছে বোনাস।
তিনি বলেন, আজ পৌরসভার যে ডিগ্রি কলেজে এই উঠান বৈঠক হচ্ছে, সেই পৌরসভা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে দিয়ে স্থাপন করিয়েছিলেন আপনাদের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।মায়া চৌধুরী দুই দুইবার এই মতলবের এমপি ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন। এই মতলবের যা উন্নয়ন হয়েছে তা উনার ১০ বছরেই হয়েছে। আর কারোর আমলে হয়নি। এটা মতলবের ইতিহাস সবাই জানেন।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে চাঁদপুর -২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে সারা বাংলাদেশের মানুষই চিনেন। উনি কেমন তারা জানেন।
উনি মতলবের উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোন কিছু চিন্তা করেন না। উনি যখনই সংসদ সদস্য হন, তখনই উনার চিন্তা ভাবনায়, পরিকল্পনায় একটি বিষয়ই থাকে, সেটা মতলবের মানুষ, মতলবের উন্নয়ন।এসময় তিনি আগামী নির্বাচনে মায়া চৌধুরীর জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি উনার স্বামী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর জন্য উপস্থিত মানুষের কাছে দোয়া চান।তিনি বলেন, আজকে যেখানে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটি একসময় কলেজ ছিলো। দিপু চৌধুরী এখানকার সভাপতি থাকা অবস্থায় উনার বাবার মন্ত্রীত্বর সময়ে সেটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেছেন।
চারতলা ভবন করেছেন। স্নাতক কোর্স চালু করেছেন।তিনি বলেন, দিপু চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল, উনার বাবা মায়া চৌধুরী নির্বাচিত হলে, এমপি হলে, মন্ত্রী হলে এই মতলবকে আমূল পরিবর্তন করবেন। স্মার্ট মতলবের পাশাপাশি আধুনিক, সিঙ্গাপুরের ন্যায় করবেন। তিনি বলেন, এর আগে মায়া চৌধুরীর সময়ে এই এলাকায় পৌরসভা হয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, কমিউনিটি হাসপাতাল, ব্রীজ-কালভার্ট হয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা উনার সময়েই চালু হয়েছে। আর তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনাকে বুঝেই নৌকা প্রতীক দিয়েছেন, কারন তিনি জানেন, মায়া চৌধুরীর দ্বারাই এই এলাকার উন্নয়ন হবে।
তাই আসছে ৭ জানুয়ারি, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মোফাজ্জল হোসেন মায়াকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে এই মতলবের উন্নয়ন করতে সহযোগীতা করবেন।তিনি বলেন, আমরা জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তাই আপনারা ৭ জানুয়ারি আপনাদের কাছের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।
আর আশা করবো মতলবের উন্নয়নের জন্য মায়া চৌধুরীকেই আপনারা বেছে নিবেন।ছেংগারচর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলাতুন্নেছা মিলির সভাপতিত্বে ও ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ছেংগারচর পৌরসভর মেয়র মোঃ আরিফ উল্লাহ সরকার, মতলব উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন শরীফ, সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিউলি আক্তার, মতলব উত্তর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার,ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মনির হোসেন প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজ্বী মনির হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, ছেংগারচর পৌর কৃষক লীগের সভাপতি আঃ কাদির প্রধান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন,উপজেলা শ্রমিকরীগ নেতা শামীম প্রধান,ছেংগারচর পৌরসভার ৫ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঃ মান্নান বেপারী,৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহজাহান মোল্লা, ৬ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমান উল্লাহ সরকার, ৭ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন,৪ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহজালাল মুফতি, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সম্পাদক চাঁন মিয়া বেপারী,পৌর যুবলীগের নেতা কামরুজ্জামান কামাল, নাজমুল খান, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম অপু, ছেংগারচর পৌরসভার মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি জনি সরকার,সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, চাঁন মিয়া সরকার, পৌর যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, পোর আওয়ামী লীগের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোসলেম দেওয়ান, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি খোরশেদ আলম অপু, মোঃ সোহেল সরকার, ছেংগারচর পৌর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোঃ জনি সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনজুর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন,বাদল ঢালী, রেজাউল করিম ডেঙ্গু, ছাত্রলীগ নেতা সুমন বেপারি, আরমান কাজী,মাইনুল বকাউল, শান্ত বকাউল প্রমূখ।
সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে মোহনপুর ইউনিয়নের দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অপর এক উঠান বৈঠকে অংশ নেন অতিথিরা। বৈঠকে বক্তারা মতলব- ২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী ও দলের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের পক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।