প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ চাঁদপুর -২ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্ট্রানের এই সুন্দর বাংলাদেশকে আমরা ভাবতে চাই বাঙালির বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তার সময় এ দেশের সব ধর্মের মানুষ সম্পূর্ণ সসম্প্রীতির বন্ধনে তাদের স্ব-স্ব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পারছেন। তিনি বলেন, সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে এই দেশটাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীন করেছি। সেখানে মুসলমান,হিন্দু., বৌদ্ধ, ক্রীস্ট্রান বলতে কোনো ভেদাভেদ ছিলো না। শেখ হাসিনার সরকার আছে বিধায় সনাতন (হিন্দু) ধর্মালম্বীদের অনেকেই আজ সচিব, পুলিশের বড় কর্মকর্তা থেকে প্রশাসনের উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায়ের বিভিন্ন পদে অধিষ্ট আছেন।
এদেশ সবার, তাই সবার সমান অধিকার। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতয়ি সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পঞ্চম বারের মতো শেখ হাসিনাকে প্রধান মন্ত্রী করতে হবে। তা না হলে আপনারা ভালো থাকতে পারবেন না। আপনারা একমাত্র শেখ হাসিনার সময়েই নিরাপদ। কাজেই ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন,। উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোট দিবেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়ের দক্ষিণ ইউনিয়নের নায়েরগাঁও বাজার সংলগ্ন কালিবাড়ির সার্বজনিন কালি মন্দির পরিদর্শন কালে চাঁদপুর -২ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম সনাতন ধর্মলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মায়া চৌধুরী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম সবাই বুকের তাজা রক্ত বিসর্জন এবং মা-বোনদেও সমভ্রম বিলিয়ে দিয়ে অর্জন করেছি লাল-সবুজের একটি দেশ বাংলাদেশ। এখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্ট্রান, বৌদ্ধ সব ধর্মের লোক সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধর্মের লোকের সমান অধিকার নিশ্চিতকরেছেন, যে যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারছে।
বর্তমান সরকার অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম আরও বলেন, এ দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সংখ্যালঘু তারাই যারা সে সময় পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে। আমরা সবাই বাঙালি এটাই হোক আমাদের পরিচয়।
এসময় তিনি মন্দিরের বিভিন্নএসময় মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইএম কবির আহম্মেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসমা আক্তার আখিঁ, ২নং নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কালিবাড়ির সার্বজনিন কালি মন্দির কমিটির সভাপতি সুখ রঞ্জন পাল, সহ-সভাপতি সুনিল চন্দ্র ঘোষ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রবেন্দ্র মজুমদার, ২নং নায়ের দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক গোবিন্দ ঘোষ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ডা.কিশোর কুমার পাল লিটন, সাবেক মেম্বার বিনয় ভূষন দাস, সহ-সভাপতি সুভাষ পাল, নিমাই ঘোষ, শান্ত দাস, নান্টু দাস, ছাত্রনেতা মোঃ কাউছার আহমেদ প্রমূখ।