প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীর পোস্টের ‘জাতীয় পার্টির মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে সমঝোতায় হয়।
এতে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়।জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টির মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখা থাকায় করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও আসনটিতে আওয়ামী লীগের চার স্বতন্ত্র প্রার্থী নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজুল হক (ঈগল), মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক (কাঁচি), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবীর ভূঁইয়া (কেটলি) ও মো. রুবেল মিয়া (ট্রাক) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা নাসিরুল ইসলাম আওলাদ জানান, জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় মুজিবুল হক চুন্নুকে এ আসনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই বলে সমর্থন দেয়নি।
কাজেই পোস্টারে ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখাটা অন্যায় হয়েছে।তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক মোতাহারও বলেছেন, ‘চুন্নুকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়নি। তার পক্ষে আমরা নির্বাচনী কাজও করছি না। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগের চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তবে পোস্টারের বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নুকে আমাদের প্রতিনিধি একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।