মতলবের উন্নয়নে মায়া চৌধুরীরই বেশি জনপ্রিয়

0
মতলবের উন্নয়নে মায়া চৌধুরীরই বেশি জনপ্রিয়

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামাল হোসেন খান,মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ  চাঁদপুরের সাবেক বৃহত্তর মতলব (বর্তামানে মতলব উত্তর -দক্ষিণ) দুই উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন ২৬১, চাঁদপুর-২। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে যারা এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এজনই উন্নয়নের রুপকার হিসেবে পরিচিত।

তার এ উন্নয়নেই তার জনপ্রিয়তা বেশি। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরের সবচেয়ে ব্যয় বহুল সেতু নির্মাণ হয়েছে ‘মতলব ধনাগোদা সেতু’। যা মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সেতু বন্ধন তৈরী করেছে। আর এটি হচ্ছে চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপির প্রচেষ্টায়। তিনি মতলব দুই উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরন করেন।

সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল ১টি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন (পরবর্তীতে ১টি বৃদ্ধি) নিয়ে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে মেঘনা-ধনাগোদা নদী পরিবেষ্টিত দ্বীপাঞ্চল মতলব উত্তর উপজেলা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মতলব উত্তর নব-সৃষ্ট উপজেলা হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। মতলব উপজেলার উত্তর দিকে হওয়ার ফলে এ উপজেলার নামকরণ করা হয় মতলব উত্তর ।

উপজেলা সৃষ্টির ফলে ২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল মতলব উত্তর থানাও প্রতিষ্ঠিত হয়।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সরকার বিভাগ কর্তৃক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯৯৮ সালের ৫ এপ্রিল ছেংগারচর পৌরসভার সৃষ্টি হয়েছে। তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি এ পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালের ৭ আগস্ট এ পৌরসভাটি গ শ্রেণি থেকে খ শ্রেণীতে উন্নীত হয়়।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারী অপর এক প্রজ্ঞাপনে এ পৌরসভাকে ’ক শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়।১৯৯৮ সালের ২৭ মার্চ এক প্রজ্ঞাপনে মতলব পৌরসভা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। মতলব পৌরসভা শুরুতে “গ” শ্রেণিভুক্ত হলেও ২০০৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এটি ” খ” শ্রেণিতে উন্নীত হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৮ মে প্রথম শ্রেণি বা “ক” শ্রেণিভূক্ত হয় মতলব পৌরসভা। তৎকালীন মতলব উপজেলাধীন মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ ইউনিয়নদ্বয়ের ২০টি মৌজা ও ২২টি গ্রাম নিয়েই মতলব পৌরসভার প্রশাসনিক এলাকা বিস্তৃত।

এর প্রতিষ্ঠাতাও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। মতলব দক্ষিণের নারায়নপুর ইউনিয়নকে ২০১০ সালের ১৫ জুলাই পৌরসভা ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল মন্ত্রণালয় এ পৌরসভার গেজেট প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু পৌরসভার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ফলে উচ্চ আদালত একই বছরের ২ মে দুই মাসের জন্য এবং পরে ১৪ জুলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য পৌরসভার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

২০২১ সালে রিট করলে স্থগিত আদেশ দিলে পরে আবার ২০২৩ সালে পুনরায় পৌরসভা ঘোষনা করেন। তার প্রতিষ্ঠাতা মায়া চৌধুরী। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের জন্য মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা করনের মূল কাজ করে যান মোফঅজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে মতলন -গজারিয়া সেতু নির্মাণে মাটি পরীক্ষা, ফেরী পারাপারসহ ব্রীজের প্রাথমিক কাজ শুরু করে যান। ঠাকুরচর থেকে সম্মুখা ব্রীজ পর্যন্ত মায়া বীরবিক্রম সড়ক তৈরি ও মতলব উত্তর ফায়ার সার্ভিসের যায়গা অধিগ্রহণ করে যান।

শিক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য মোহনপুরে আলী আহমদ মিয়া বহুমুখী মহা বিদ্যালয় এবং চরাঞ্চলের আলী আহমদ মিয়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। রএছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিতষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, কম্পিউটার বিতরন, ছেংগারচর কলেজ ও মতলভ কলেজ দুটি কলেজ ও ছেংগারচর মডেল হাইস্কুল এবং মতলব জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে দ সরকারি করন, ব্রীজ -কালবার্ট, রাস্তা পাকা করন, চঁঅদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলভ দক্ষিণ) উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ সকল ক্ষেত্রে যতগুলো ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম করেছেন।

তাই উন্নয়নের কথা চিন্তা করে জনগন মায়াকে সর্মথন করে আর এ কারনেই মায়ার জনপ্রিয়তা বেশি। উল্লেখ্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম চাঁদপুর -২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী। এর আগে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও পরে দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী চিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে বীরবিক্রম উপাধি ও পরে স্বাধীনতা পদক দেন।

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here