প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ডেস্ক নিউজ:সামনে কঠিন পথ রয়েছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সামনে আরও কঠিন পথ আমাদের পারি দিতে হবে। সেভাবে আপনাদের প্রস্তুত করুন। এটা শুধু নির্বাচনের জন্য না, এটা আদর্শের লড়াই। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে পক্ষের শক্তির লড়াই, আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, যেসব জায়গায় তারা হামলা চালায়, সেসব জায়গায় আপনাদের উপস্থিতি জোরদার করতে হবে। প্রস্তুতি নিয়ে, জায়গা চিহ্নিত করে অবস্থান নিয়ে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।উন্নয়ন আর অর্জনের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ জয়ের প্রতিজ্ঞা নিয়েই নেমেছে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা।
এই সংকট আস্তে আস্তে কেটে যাবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের দুটি কাজ; একটা হলো নির্বাচনের প্রস্তুতি, আরেকটা হলো বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে চোরাগুপ্তা হামলা মোকাবিলা এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা।‘পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপি ও দোসরদের কালো হাত’পোশাক কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনে স্পষ্টত বিএনপি ও এর দোসরদের কালো হাত আছে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। উসকানি ও গুজবে নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবি সমাধান হয়ে গেছে। বাকিটা সমাধানে শ্রমিকেরা এগিয়ে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি মনিটরিং করছেন।শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রমিকেরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করবেন না। শ্রমিকেরা বিভ্রান্ত হলে ক্ষতিটা দেশের এবং শ্রমিকের নিজের হবে। গুজব রটনাকারীদের ক্ষতি হবে না।যৌথ সভায় সূচনা বক্তব্যে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদের চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধ করতে হবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে, ভিন্নমতের প্রতিকূল স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি আমরা। আজকে বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী চক্রান্ত চলছে, দেশে-বিদেশে সরকারবিরোধী তৎপরতা চলছে।তিনি আরও বলেন, ২৮ তারিখে তাদের আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এখন স্বাভাবিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তারা অস্বাভাবিক পথে চলতে শুরু করেছে।তাদের পুরোনো রাজনীতির অভ্যাস অগ্নি-সন্ত্রাসের উপাদান যুক্ত করেছে। এসব করে তারা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সবশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে পারছে না, চোরাগোপ্তা হামলা করছে।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।