প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে চরফ্যাশনে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে যুবদল নেতা ইব্রাহীম আজমীর লিটন (৩৫)। গত ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে চরফ্যাশন সদর রোডে সন্ত্রাসীরা তাকে হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে মাথায় গুরুতর আহত করেন।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শ্যামলী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘদিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার বদিউল আলম’র তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যায় হাতুরি ও লোহার রডের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেঙ্গে তিন টুকরো হয়ে গেছে।
গত ৩০ অক্টোবর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের অভিজ্ঞ ডাক্তারগন দীর্ঘ চার ঘন্টা অপারেশন করে মাথার খুলি পূর্ণস্থাপন করেন। তার খুলিতে বাহির থেকে রক্ত দিতে হয়েছে। ডাক্তার বলেছে তার ব্রেনে হালকা আঘাত লেগেছে যদি আরেকটু আঘাত লাগতো তাহলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হত। বর্তমানে সে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ রয়েছেন।
ইব্রাহীম আজমীর লিটন জানান, গত ১৭ অক্টোবর বিকেলে পারিবারিক কাজে চরফ্যাশন এসে সদর রোডে নামলে কিছু বুঝে উঠার আগে একদল সন্ত্রাসী তাকে হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে এলাপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। সে তখন দৌড়ে গিয়ে একটি জুতার দোকানে ওঠেন। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে চরফ্যাশন হাসপাতালে রওয়ানা দিয়ে রিকসায় উঠলে ফের সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালিয়ে হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞায় হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে রেফার করেন। এদিকে তার শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল। চোখ,মুখ ফুলে গেছে। রয়েছে একবারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। একটি নির্দিষ্ট সময় না যাওয়া পর্যন্ত তার ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে চিকিৎক জানান।