প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও আগুন, দেশ বিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে তত্বাবধায়ক সরকার আনার জন্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ হাইকোর্ট ডিবিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট ডিবিশন বিশাল অবজারভেশন দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিলেন। সারা পৃথিবীতে কোথাও তত্বাবধায়ক সরকারের নজীর নেই। ভারত, আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন কোথাও নেই। বেগম খালেদা জিয়ার সময়েই ছিলো। এদেশে নাকি কোন নিরপেক্ষ নাই, নিরপেক্ষ নাকি পাগল।
ঐ পাগলের হাতে কি আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারি ? নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। বিষয়টা কিন্তু এখানে না। ওরা চায় কি ? বঙ্গোপসাগরের একটা অংশ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ। সেখানে ওরা ঘাঁটি গেড়ে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াকে অশান্ত করতে। ওরা আমাদের ব্রিটিশ কলোনীতে ফিরিয়ে নিতে চায়। আমরা তাদের এই মোড়লগিরি মেনে নিবোনা। ওরা কিছু হলেও আমেরিকান দূতাবাসে যায়, প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসে।
ভোট দেশের জনগণ দিবে, আমেরিকার জনগণ দিবেনা। ওরা দেশে একটা দ্বিতীয় শক্তি আনার চেষ্টা করছে। আমাদের নেতা শামীম ওসমান পরিষ্কারভাবে নেত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন, আপনি নারায়ণগঞ্জকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ মনে করবেন। এই জন্মভূমিতে কোন অপশক্তি থাকতে পারেনা। আঘাত করলে পাল্টা আক্রমন করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, শিপন সরকার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, মহানগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক চৌধুরী এইচ.এম শাহেদ, সদর থানা তাঁতী লীগের সভাপতি মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।