প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কী হবে ২৮ অক্টোবর? কিংবা তারপর? দেশ কি আবারও কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে? দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি সমাবেশ ঘিরে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে জনমনে। বিএনপি’র দোষারোপের তীর আওয়ামী লীগের দিকেই। আর ক্ষমতাসীন দলও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, যে কোনো পরিস্থিতি মাঠেই মোকাবেলা করার।
দুই দলের এমন আচরণের মধ্যে সাধারণ মানুষের চাওয়া একটাই, তা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।আদৌ কি কোনো অস্থীতিশীল পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ? এ প্রশ্নের বিপরীতমুখী জবাব প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের।জানতে চাইলে এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছে সভা করতে দেবে না। বলে, একবার গরুর হাটে পাঠানো হয়েছিল। এবার কোন হাটে পাঠাই দেখেন।
সরকার এমন কথা বলছে, সাধারণ মানুষের ভেতর টেনশন তৈরি হচ্ছে। পুরো জাতি ২৮ তারিখ নিয়ে টেনশনে আছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। সেখানে সরকারের উস্কানিমূলক বক্তব্যেই বোঝা যায়, তারা সহিংসতার আশ্রয় নিতে পারে।তার দাবি, ইতোমধ্যেই সরকার গ্রেফতার অভিযান শুরু করে দিয়েছে। যদি টেনশন হয়, তো সেতা সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণেই হচ্ছে।এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গণমানুষকে সাথে নিয়েই আওয়ামী লীগ সবসময় রাজনীতি করেছে।
অতএব গণমানুষের শান্তির জন্য পাহারায় রয়েছি। কোনো আতঙ্কের কারণ নেই। সংঘাতের রাজনীতি করে বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়।আর যে কোনো দুর্ঘটনার দায় ক্ষমতাসীনদের ওপরই বর্তাবে বলে জানালেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।বরাবরের মতো বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বললেও রাজধানীজুড়ে সতর্ক থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।