প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা:ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের উদ্দ্যেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, সময় শেষ, দেশ-বিদেশে ধর্না দিয়ে লাভ হবে না। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, না হলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের স্যাংশন দিবে। তখন ঘরেও থাকতে পারবেন না। বাইরেও পালাতে পারবেন না।
সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজবাড়ির বসন্তপুর ইউনিয়ন বাজার মাঠে রোডমার্চের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির ‘একদফা’র দাবিতে এই রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।টুকু বলেন, ‘ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয় পেয়ে বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলছে, আর বাইরে গিয়ে মাইকের সামনে চাপাবাজি করে বলছেন এসব স্যাংশন আমরা পরোয়া করি না। জনগণ আমাদের পক্ষে আছে।
অবৈধ সরকার এইবার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে চায়, সেইজন্য দেশে-বিদেশে তদবির করে বেরাচ্ছে। আমাদের সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভোটডাকাত সরকাকে প্রতিরোধ করতে হবে।তিনি বলেনএই সরকার আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। এইবার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে চায়, এ সরকার কাউকে ভোট দিতে দেয় না। সময় শেষ, দেশ-বিদেশে ধর্না দিয়ে লাভ হবে না।’আওয়ামীলীগের বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি বলেন কোনো স্বৈরশাসক স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ে না।
তাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ। এক দফা আন্দোলনে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে। এবং সকল গুম-খুনের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।সুলতান বলেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
এছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। আমাদের সবাইকে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এখন বাইরে বের হওয়ার সময় রাস্তায় নামার সময়, বাংলাদেশের সবাই পরিবর্তন চায়। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন বাংলাদেশের মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তাদের মাঝে ফিরে পেতে চায়। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।যুবদল সভাপতি বলেন, ‘জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তারা আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
পথসভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ খয়ৈমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, খন্দকার মাসুকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, মাহবুবুল হাসান পিংকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, তথ্য গবেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
