প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামালঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চাঁদপুরের কৃতিসন্তান জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, শেখ হাসিনা সব ধর্মালম্বীদের নিরাপদ আশ্রয়। তিনি মনে করেন, সবাইকে নিরাপত্তা দেয়া, সব ধর্মের মানুষকে ধর্ম পালনের সুযোগ করে দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করে বলেছেন, সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ সুবিধা পাবে। এক সময় সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি শুরু করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দেয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষতা পুনরায় স্থাপন করেছেন। এখন সব ধর্মের মানুষ শান্তির সঙ্গে সমভাবে ধর্ম পালন করতে পারছে। শেখ হাসিনা মনে করেন, হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই মানুষ।
একমাত্র আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে সনাতনধর্মলম্বীরা নিরাপদে, নির্ভিঘ্নে উৎসবমূখর পরিবেশে তারা তাদের পূজা ও অন্যান উৎসব গুলো পালন করতে পারে। এই মেহরুন যে আওয়ামীলীগের শক্তি ও ঘাটি তা আজকে প্রমানিত। আমি আজকে অভিভুত। এই মেহরুণ এলাকায় যত কাজ হয়েছে তা আমার সময়ে মেখ হাসিনার কল্যানে হয়েছে। জামায়াত-বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আপনারা উৎসব পালন করতে পারেনি। আপনাদের স্বাধীনতা ছিলো না।
আজ রোববার বিকেলে চাঁদপুর-২ নির্বাচনী এলাকা মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নয়েরায়েরগাঁও ইউনিয়নের মেহরুন দালাল বাড়ি, শ্রী শ্রী জগনাথ বলদেব সুভাদ্রা মহারানী মন্দির ও গিরিধারী মন্দির মেহরুন গনসংযোগ ও সনাতন ধর্মলম্বীদের আর্শীবাদ নেওয়ার জন্য আয়োজিত সনাতনধর্মালম্বীদের বর্ণাঢ্য আয়োজন অনুষ্ঠানে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা হচ্ছেন সেই নেত্রী যিনি সনাতন ধর্মমালম্বীদের ধর্মালম্বীদের নিরাপত্তা দিয়ে তাদের শান্তিতে রাখার জন্য সব কিছু করেছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি যাতে বেহাত না হয় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।মায়া চৌধুরী বলেন, ধর্ম কখনোই মানুষের মাঝে বিভাজন করে না। কোন ধর্মের মানুষই কারও জন্য ক্ষতিকর নয়। ‘৭১ সালে কিছু রাজাকার, কিছু দুষ্কৃতিকারী, কিছু সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি হিন্দু সম্প্রদায়সহ যারা আওয়ামী লীগ করতেন তাদের উপর আঘাত হেনেছে। ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র্র ক্ষমতায় এসে সেই রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকর করেছেন।
এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশে বসবাস করছি। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা।সর্বশেষ আওয়ামীলীগের এই সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মায়া চৌধুরী সনাতন ধর্মলম্বীদের উদ্দেশ্যে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আপনাদেরকে সামনের দিনগুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতয়ি সংসদ নির্বাচন। শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করতে পারলেই আপনাদের কল্যান ও উন্নয়ন সম্ভব।
মতলভ দক্ষিণ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কিশোর কুমারের সভাপতিত্বে ও সাবেক ইউপি সদস্য উত্তম কুমার দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামলিীগের সদস্য সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু,মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব গাজী মুক্তার হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, ধর্ম যাযক কৃষ্ণ দাস (সাধু), নায়ের গাঁও দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধা, মতলভ দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল, মতলব দক্ষিণ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আছমা আক্তার আখিঁ, সাধু সুর্দশন দাস, ৯নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য বরত মেম্বার,শ্রমিকলীগ নেতা শ্রী কৃষ্ণ প্রমূক।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চাঁদপুরের কৃতিসন্তান জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নয়েরায়েরগাঁও ইউনিয়নের মেহরুন এলাকায় তার আগমনকে ঘিরে ছিলো হিন্দ্র সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ,শিশুদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিলো।
প্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসার মাধ্যমে বরন করে নেওয়ার জন্য ফুলে ফুলে সাজিয়ে তুলেন জননন্দিত এই স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মায়া চৌধুরীকে। ঢাক-ঢোল-বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে কয়েকটি তোরণ নির্মাণ সহ নানন আয়োজনেরও করা হয়েছেলো। এসব আয়োজনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম তাদের এ ভালোবাসার প্রতিদান কাজের মাধ্যমে দেওয়ার প্রতিশ্রুত ব্যক্ত করেন।