প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক এড. জয়নুল আবেদীন বলেছেন, আপনারা জানেন আজকে বিচারপতিরাও রাজনীতিক মাঠে নেমেছে। আপনারা শুনেছেন আমাদের সর্বোচ্চ আদালতও আজকে তারা রাজনীতিক মাঠে নেমে পড়েছে। একারণে আমরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ করেছি।
যদি রাজনীতিক করতে হয় শপথ করে এসেছেন তাহলে রাজনীতিক মাঠে এসে পদত্যাগ করে তারপরে আপনারা রাজনীতিক করেন। সেই সময়ে এর প্রতিবাদ করার অপরাধে আমাদের ৭জন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার পিটিশন দায়ের হয়েছে। আমরা বলেছি এই আদালত অবমাননার পিটিশন আইনগতভাবে লড়বো ইনশাল্লাহ। ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বার ইউনিটের উদ্যোগে লুণ্ঠিত ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নগরীতে আইনজীবী পদযাত্রা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট আইনজীবী পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি নগরীর চাষাড়া চত্বরে ঘুরে বিবি রোড় হয়ে গ্ৰীনেজ ব্যাংকের মোড় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব হয়ে, দুই নং রেলগেইট দিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিআইটি বিএনপির পুরোনো পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।এ সময় পদযাত্রা থেকে আইনজীবীরা ব্যানার ফেস্টুনে সু-সজ্জিত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই ও সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জয়নুল আবেদীন তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ এর উপরে মামলা পেন্ডিং আছে। উচ্চ আদালতকে বাদ দিয়ে নিম্ন আদালতে সেই সমস্ত মামলা এখন তারা বিচার করার চেষ্টা করছে। ঢাকা কোথায় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সাক্ষী হয় আপনাদের এখনো নাকি একই অবস্থা। সারা বাংলাদেশে একই অবস্থা চলতাছে। তারা চায় বিএনপি যে কোন অবস্থায় নির্বাচন করুন। যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের কোন জামানতও থাকবে না। এটা তারা বুঝতে পেরেছে।
তারা বুঝতে পেরেই তারা বেছে বেছে আগামীতে আমাদের যে নেতৃবৃন্দরা নির্বাচন করবে তাদের মামলা গুলো সাজানো সাক্ষী দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলার সাক্ষী বেছে বেছে নেওয়া হচ্ছে। এর কোনো বিধান নেই। আপনারা এর বিরুদ্ধে আইনজীবীদের বলবো আপনারা প্রতিবাদ করবেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় রায় দিয়ে জোর করে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।
অথচ এই সরকার জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। আওয়ামীলীগ জানে জিয়া পরিবার যেহেতু জেগেছে তাদের ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনারা জানেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের এক দফার আন্দোলন শুরু হয়েছে গেছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নিবে ইনশাল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে আইনজীবী পদযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, প্রধান সমন্বয়কারী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সমন্বয়কারী সৈয়দ মামুন মাহবুব, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাসদের সভাপতি এড.খলিলুর রহমান, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবির, সিনিয়র সহ- সভাপতি এড.আজিজুল হক হান্টু, সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, এড,মাহবুবুর রহমান খাঁন,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, সিনিয়র আইনজীবী এড. বেনজীর আহমেদ, এড.সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, এড. রকিবুল হাসান শিমুল, আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. একেএম ওমর ফারুক নয়ন, সিনিয়র আইনজীবী এড. কাজী আব্দুর গাফফার,এড. মানিক মিয়া, এড. সিমা সিদ্দিকী,এড.আজিজুর রহমান মোল্লা, এড.একেএম মাহমুদুল হক আলমগীর,এড. নজরুল ইসলাম মাসুম, এড.সিদ্দিকুর রহমান,এড. হৃদয়, এড.এসএম সায়েম রানা,এড. সালাউদ্দীন ভুঁইয়া সবুজ, এড.ফজলুর রহমান ফাহিম,এড. সুমন মিয়া, এড. কাজী রাশিদা আক্তার, এড.আসমা হেলেন বিথি, এড. মাসুদা বেগম শম্পা, এড. হামিদা খাতুন লিজা, এড. শামসুর নূর বাঁধন,এড. মামুন মাহামুদ মিয়া, এড. শাহআলম শামীম, এড.জামান মিয়া, এড. ফাতেমা মাসুদ, এড.কাজী সুমন, এড.আবুল কালাম আজাদ, এড.আবু রায়হান, এড. আশরাফুল বারী ভুঁইয়াসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীবৃন্দ।