আল্লামা সাঈদী শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই করেছেন: আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মুজিবর রহমান

0
আল্লামা সাঈদী শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই করেছেন: আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মুজিবর রহমান

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ফরিদপুর অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রাহিঃ) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, মানুষ মারা গেলে শরিয়ত বিরোধী কাজকর্ম হয়, যেটা শিরক ও বিদআত সমতুল্য।সাইদীর কবর কেন্দ্রীক সেটা যেন না হয়।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সারা জীবন এই শিরক ও বিদআত উৎখাতের জন্য লড়াই করে গেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রাহিঃ) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনলাইন ভার্চুয়ালের মাধ্যমে ৬ সেপ্টেম্বর-২০২৩ বুধবার সকাল ৯ টায় শুরু হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত চলে।

ফরিদপুর অঞ্চল পরিচালক ও কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল, সাবেক এমপি এইচ,এম হামিদুর রহমান আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাইদী অনেক সদকায়ে জারিয়ার কাজ করেছেন যেটা মানুষের কল্যাণ সাধিত হচ্ছে। তিনি সফল একজন ব্যক্তি। সকল জনশক্তিকে উদ্দেশ্য করে আমীরে জামায়াত বলেন, মানুষ মারা গেলে শরিয়ত বিরোধী কাজকর্ম হয় যেটা শিরক বিদআত সমতুল্য হয়ে যায়।

সাঈদীর কবর কেন্দ্রীক সেটা যেন না হয়। কবরে হাত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মাখানো, কান্না করা, মাতম করা নিষিদ্ধ। আমাদের দ্বারা যেন শিরক বিদআত হয়ে না যায়। কবর কেন্দ্রীক ইসলাম বিরোধী কাজ সংঘটিত না হয়। সকলকে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কবর যিয়ারতের হুকুম রসুল (সঃ) দিয়েছিলেন। কারণ কবর জিয়ারত করলে আখেরাতের কথা স্মরণ হয়। কবর যেয়ারতের জন্য সফর করতে একবারেই নিষেধ করেছেন যেটা হারাম।

তিনি আরো বলেন, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে মরক্কোর রাবাত পর্যন্ত প্রায় সকল দেশেই তিনি তাফসীর মাহফিল করেছেন। তার কুরআনের মাহফিল শুনে অসংখ্য মানুষ নামাযী হয়েছে ইসলামী আন্দোলনে শরীক হয়েছেন। তিনি চমৎকার কুরআন তেলাওয়াত করতেন। কুরআনের পাঠক ছিলেন। তিনি যেমন কুরআন বলতেন তেমনী সাহসী ছিলেন। তাফসীরের নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন। শত শত মুফাস্সির তার এ ধারাতে তফসীর করেন।

তিনি বলেন আপনারা কুরআনের পাঠক হয়ে যান আল্লামা সাঈদীকে ভালবাসা হবে। কুরআনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে। বর্তমান সমাজে জুলুম চলছে। একমাত্র কুরআনের আইনই পারে সকল জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে।

এসময় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে আলোচনা রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুযোগ্য সন্তান শামীম বিন সাঈদী, অঞ্চল টীম সদস্য শামসুল ইসলাম আল বরাটি, অধ্যাপক আব্দুত তওয়াব, এ্যাড. আজমল হোসাইন, ফরিদপুর জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, মাদারীপুর জেলা আমীর মাওলানা আঃ সোবহান খান, রাজবাড়ী জেলা আমীর এ্যাড. নুরুল ইসলাম, শরীয়তপুর জেলা আমীর মাওলানা আঃ রব হাসেমী ও গোপালগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক রেজাউল করীম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here