প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিএনপির চলমান আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়, এটি দেশ মুক্তির আন্দোলন উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত দলটির পূর্বঘোষিত র্যালির পূর্বমুহূর্তে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, এটা ক্ষমতার আন্দোলন নয়, দেশমুক্তির আন্দোলন, গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন, মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন উল্লেখ করে যুবদল সভাপতি বলেন, আগে যখন পুলিশ লাঠিপেটা করত তখন মানুষ পালিয়ে যেত। এখন প্রতিবাদ করছে,প্রতিরোধ করছে। এটা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে, যতক্ষণ না সরকার পতন হয়।তিনি বলেন, আমাদের এই আন্দোলনের ইস্যু সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমাদের ইস্যু একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ নিজের ভোট নিজে দিবে, ইভিএমের মাধ্যমে না। তাই আমাদের ইস্যু পরিষ্কার।
এই ইস্যু যুবদলের, এই ইস্যু ছাত্রদলের, সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও সারাদেশের মানুষের। তাই আমি আহ্বান জানাবো যারা এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায় তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসুন।এই র্যালির মধ্যে দিয়ে সমগ্র দেশবাসী এবং বর্তমান সরকারকে জানিয়ে দেব, বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় দল। বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এই দলকে বিকশিত করেছেন এবং জনগণের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
যিনি এখনো এই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন। আর এই ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা মামলায় সাজা নিয়ে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় তিনি অন্তরীন আছেন।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন, দেশের সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্য দিয়ে একটি দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদী, ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী ও খুনি সরকারকে পরাজিত করে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি।তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির সিদ্দিকী, মাহবুবুল হাসান পিংকু, গোলাম মোস্তফা সাগর, হারুনুর রশীদ শিশির, দিপু সরকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ, জাভেদ হাসান স্বাধীন, সাইদুর রহমান, এড. আজিজুর রহমান আকন্দ, সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, শাহ নাসিরুদ্দীন রুমন, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, কোষাদক্ষ গোলাম মোস্তফা, মানবাধিকার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুমন, সহ-শ্রম সম্পাদক মইনুল ইসলাম হিটু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দেওয়ান, মো: কামরুজ্জামান, আরো যারা উ পস্থিত ছিলেন আমান উল্লাহ বিপুল, পার্থদেব মন্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাতিস হাসান, সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু, মিজানুর রহমান সুমন, মিজানুর রহমান রাজ প্রমুখ।