প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এক দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা অনেক কথা বলেছি। এখন আর আমাদের কথা বলার সময় নেই। আমাদের এখন একটাই কাজ। সেটা হলো এই ভয়াবহ লুটেরা, ফ্যাসিস্ট, সংবিধানলঙ্ঘনকারী, যারা আমাদের মানুষের সমস্ত অর্জনগুলো কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। অবশ্যই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। কিন্তু সেই নির্বাচন আপনার মতো শেয়ালের হাতে চাই না।
কারণ আপনি তো কুমিরের বাচ্চাটাকে বার বার একই কায়দায় খেয়ে ফেলবেন।২০১৪ ও ২০১৮ সালে খেয়েছেন। এখন আরেকবার খেতে চাচ্ছেন। পুলিশ-প্রশাসন সব তারা নিজেদের মতো সাজাচ্ছে। যখন জনতা জেগে ওঠে তখন আর এসব কাজ করে না। সুনামি যখন আসে তখন কি দেয়াল তা রুখে দিতে পারে। ঝড় যখন আসে তখন কি বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যায়, যায় না।
আজকে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিবাদের সুনামি শুরু হয়েছে। এই সমাবেশই তার প্রমাণ।তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। টাকা পাচার হয়ে গেছে দেশের বাহিরে। বিশেষ করে আমেরিকায়। আর যেই আমেরিকায় স্যাংশন দিয়েছে। তখন সেই টাকা বাঁচানোর জন্য আবার ফেরত আনা হচ্ছে। এর আগে, দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।
এই সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে দলটি। ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।