প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, জনগণ প্রস্তুত, খুব শীঘ্রই রাজপথে ফয়সালা হবে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নাই।
মানুষের ভোটের অধিকার নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই। সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা নেই। দেশে এরকম পরিস্থিতি গত ৫০ বছরেও হয় নাই। তিনি বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই সরকার এই মুহূর্তে পদত্যাগ না করলে গণঅভ্যুত্থানে সরকারকে বিদায় করা হবে। এদেশে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) দেশ বাচাঁতে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সালাউদ্দিন টুকু বলেন, তারুণ্যের সমাবেশ তরুণদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশ হায়েনার কবলে পড়েছে। আজকে মানুষের ভোটাধিকার নেই। প্রায় চার কোটি নতুন ভোটার হয়েছে। তারা কেউ ভোট দিতে পারেননি। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
জনগণের দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় না করা পর্যন্ত মাঠে থাকব।তিনি আরও বলেন,আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। দুইবার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকে তারা ভয় পায়। শুধু ভয় নয়, মারাত্মকভাবে ভয় পায়।রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে মূল মালিক জনগন, সেই জনগনকে আমরা ভোটের অধিকার ফেরত দিতে চাই।
তাই আসুন দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষকে রক্ষা করার জন্য, স্বাধীনতার যেই আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আরেকটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, আসুন আমরা ছোট-বড় সব শক্তি একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করি।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এই সমাবেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে চুড়ান্ত আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদ ইমরান আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ শহীদুল আলম টিটু, মাহি খন্দকার, সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার প্রতিটি উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিলেট জেলা ও মহানগরের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব বৃন্দ।