প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামালঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আরিফ উল্লাহ সরকারকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরাও চাইছেন নৌকা প্রতীককে বিজয় করতে।
রবিবার (২ জুলাই) বিকালে ছেংগারচর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাঁচগাছিয়া মাদ্রাসা মাঠে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মাজাকাত মানিক হারুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
যুবলীগ নেতা সোহেল রানার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অঅলহাজ্ব মোঃ আরিফ উল্লাহ সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান ইমাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও গজরা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল্লাহ সিদ্দিকী কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তÍুতি কমিটির সদস্য আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ব্যাংকার মোঃ জাকির খান, ছেংগারচর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন ফকির, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম বাবু, কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ লিয়াকত আলী খান, এনামুল হক ইমতিয়াজ, আলাউদ্দিন চৌধুরী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুজন ভুইয়া,
জসিম সরকার, শাহআলম প্রধান প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্লাহ দর্জি, ছেংগারচর পৌর মৎস্যজীবীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন প্রধান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জিয়াউল হক প্রধান আওয়ামীলীগ,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী এবং এলাকার গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, বলেন, নৌকা হলো স্বাধীনতার প্রতীক,নৌকা মানেই মুক্তিযুদ্ধ, নৌকা মানেই বাংলাদেশ। আর নৌকা মানেই স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে নৌকা বিজয়ের বিকল্প নেই। এই অবহেলিত পৌরসভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে আরিফ উল্লাহ সরকারের নৌকা মার্কার কোনো বিকল্প নেই।
আরিফ উল্লাহ সরকার একজন সুশিক্ষিত ভদ্র এবং সমআর্ট প্রার্থীা তিনি তরুন। মাননীয় প্রধাানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে। সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক মাজাকাত মানিক হারুন বলেন, আগামী ১৭ জুলাই ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হবে। তাহলেই এই অবহেলিত পৌরসভা একটি আধুনিক পৌরসভায় বাস্তবে রডপ নিবে। আমি আগেও এই পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষে ভােট প্রার্থনা করেছিলাম,আপনারা দিয়েছিলেনও।
কিন্তÍু যিনি মেয়র প্রার্থী প্রার্থী তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। একজন সৎ,নির্ভিক, উচ্চ শিক্ষিত,স্মার্ট প্রার্থী। তাই তাকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি সকলের কাছে আহবান জানাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। মাজাকাত মানিক হারুন তিনি আরও বলেন, নৌকার প্রার্থীকে হারাতে মাঠে বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা গোপনে কাজ করছে।
তা সফল হতে দেয়া যাবে না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনো বিএনপি জামায়াতের কর্মকাণ্ডে ফুটে ওঠে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে যেতে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই। মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব আরিফ উল্লাহ সরকার বলেন,এই ২৫টি বছর ছেংগারচর পৌরসভার মানুষের তেমন কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। হয়নি কোনো উন্নয়ন। একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার রাস্তা-ঘাট এমন করুন দশা হবে তা অত্যান্ত লজ্জার বিষয়। আমি প্রতিটি গ্রাম ইতিমধ্যে ঘুরেছি। পৌরসভার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নাই।
পৌরসভার প্রতিটি গ্রামেরই রাস্তাÑঘাট অত্যান্ত খারাপ। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে, কারো ভাই,বন্ধু হিসেবে নৌকা প্রতীকে একটি করে ভোট ভিক্ষা চাই। আপনারা আমাকে একটি করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে নৌকা প্রতীক বিজয়ের বিকল্প নেই।
তাই আসুন আমরা সকলের এই পৌরসভাকে একটি আধুনিক স্মার্ট পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করি। তাহলেই পৌরসভা হবে ইভটিজিংমুক্ত, মাদকমুক্ত এবং পৌরসভার প্রতিটি গ্রামে সমবন্টন হবে।