প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলের বাকি মাত্র একদিন। রাজীবকে নিয়ে চলছে একের পর এক বিশাল ষড়যন্ত্র। বিএনপি রাজিবকে এখন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামের ভুঁইফোড় সংগঠনের নেতা বানানোর অপচেষ্টা। ছাত্র জীবন থেকেই মাশুকুল ইসলাম রাজিব বিএনপির আদর্শকে বুকে লালন-ও ধারণ করে ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন। ছিলেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
নারায়ণগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির আইকন বলা হয় রাজিবকে। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে এখন তিনি জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক। ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক পদেও। দীর্ঘ ১৪ বছর পরে জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন মাশুকুল ইসলাম রাজীব। সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াই করতে গিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন রাজিব। বেশ কিছুদিন যাবত রাজিবের বিরুদ্ধে নানান রকম কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও মিথ্যাচার করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা প্রচার করা হচ্ছে।
ঠিক তেমনি আরো একটি মিথ্যাচার যোগ হয়েছে আজকে। রাজিব নাকি প্রয়াত বিএনপি’র বহিষ্কৃত নেতা সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদার জাতীয়তাবাদী ফন্ট নামক একটি সংগঠনের জেলা সদস্য ছিলেন। এই নিয়ে মনগড়া বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ ও প্রকাশিত হয়েছিল। তবে সেটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন রাজিব। আর নারায়ণগঞ্জে জাতীয়বাদী ফন্টের কোন কমিটি নেই। পুরনো একটি কমিটিতে যা নামমাত্র রাজীবের নাম দেখা যাচ্ছে কিন্তু এই রাজিব সেই রাজীব কিনা তাও কেউ স্পষ্টভাবে বলতে পারেনা।
সে যের ধরেই রাজীবকে বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করে বলেন – আপনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের সাথে আপনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন বলে আমরা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে জানতে পেরেছি। দল আরও অবহিত হয়েছে যে, আপনি শুধুমাত্র উক্ত সংগঠনের সাথে যুক্তইহননি,বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি, নানাবিধ অপপ্রচার ও দলবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত আছেন। আপনার এহেন তৎপরতা শুধু সংগঠন বিরোধীই নয়, বর্তমান দুঃসময়ে দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
সুতরাং উল্লিখিত ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শিয়ে আগামী ০৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ ১৪ বছর পরে হতে চলা জেলা কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন সাবেক ছাত্রনেতা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। আর তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়ার অনুসারী নিষ্ক্রিয় গোলাম ফারুক খোকন।
কারন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। টার্গেট একটাই রাজিবকে নির্বাচনের ভোটের মাঠ থেকে সরানো। দিপু ভূঁইয়া বিনা ভোটে তার অনুসারী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী করতে।
তবে রাজিবকে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে দিপু ভূঁইয়া রাজিবের বিরুদ্ধে নতুন ফর্মুলা তৈরি করেছে। ছাত্র জীবন থেকে যিনি মনেপ্রানে বিএনপিকে ভালোবেসে সে দলের সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতি করছে তাকে এখন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট দলের সদস্য বানিয়ে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে দাবি তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীদের।