প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জে জেলাজুড়ে বিভিন্ন স্থানের শতাধিক স্পটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে রান্না করা খাবার বিতরণ ও দোয়ার আয়োজন করে চমক দেখিয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এদিন নারায়ণগঞ্জে দলের অন্য কোন বিএনপি নেতাকে এত বিশাল পরিসরে আয়োজন করতে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৭ টায় শহরের মাসদাইর এলাকায় বড় পরিসরে দোয়া, মিলাদ ও রান্না করা খাবার বিতরণের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা করেন তৈমূর। পরে জেলার সদর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লাসহ বিভিন্ন স্থানের শতাধিক স্পটে ঘুরে ঘুরে সেসব স্থানে আগে থেকে তার নির্দেশে ও উদ্যোগে আয়োজন করা রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় এবং বিশেষ দোয়া করা হয়। প্রতিটি স্পটে শত শত নেতাকর্মী তৈমূরকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্রুত হয়ে পড়েন।
তারা তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং দল বহিষ্কৃত থাকলেও তিনি নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেন এবং পাশে থাকেন বলে জানান। তিনি নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা, তাদের নানা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন এবং দলীয় এ ধরনের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সবাইকে নিয়ে সক্রিয় থাকেন বলে তারা বলেন। প্রতিটি স্পটেই নেতাকর্মীদের এ ঢল দেখে অনেকেই বলেন, তৈমূর বহিষ্কৃত হলেও তিনি নিজেই একজন বিএনপি। দলের প্রতি আনুগত্য ভালোবাসা এবং দলের প্রতি একনিষ্ঠতা তাকে দলপ্রেমী নেতা হিসেবে সকলের কাছে প্রমান করেছে।
দলের প্রতি তার ত্যাগ ও সক্রিয়তা প্রমান করে বহিষ্কৃত বা দল থেকে তাকে দূরে রাখার চেষ্টা হলেও তিনি বিএনপি এবং জিয়া পরিবার থেকে কখনো এক বিন্দুও দূরে যাননি। বরং দিন দিন বিএনপি ও জিয়া পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসা আরো বেড়েছে। একজন তৈমূর আলম খন্দকারকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য অনেক প্রয়োজন বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। এদিকে বিভিন্ন স্পটে নেতাকর্মীরা তার এই চমক দেখানো আয়োজনে সকল স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরো চাঙ্গা হবে বলে জানান।
নেতাকর্মীরা বলেন, একজন তৈমূর শতাধিক স্পটে একটি দিনকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের দিগুণ উদ্যম দিয়ে চাঙ্গা করে গেলেন। তার এই উদ্যোগে এলাকায় এলাকায় নেতাকর্মীরা আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে। দিনটি যেন মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সেজন্য এ আয়োজনে দোয়ার অংশে জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। তৈমূর সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে যখন শতাধিক স্পটে ছুটে চলা শুরু করেন আয়োজনগুলোতে অংশ নিতে তখন একজন দুজন করে তার সাথে জড়ো হয়ে যায় শত শত নেতাকর্মী।
তিনি মাসদাইর থেকে রওনা দেয়ার আগে একজন তৈমূর থেকে রওনা হয় গাড়িবহর ও শতাধিক নেতাকর্মী। গাড়িবহরে থাকা এক নেতা বলেন, তৈমূর তো নিজেই বিএনপি। সে যখন যেখানে যায় সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এমনিতেই ভরে যায়। তার ১শ কদম হাটায় শতাধিক নেতাকর্মী তার চলার পথে এমনিতেই যুক্ত হয়ে যায়। আজকের আয়োজনেও এমনি হয়েছে। এ ছাড়াও আমরা যেসব আয়োজনে গিয়েছি সকল স্থানেই এভাবে নেতাকর্মীদের উষ্ণ ভালোবাসা পেয়েছি।
একই সাথে জিয়াউর রহমানের প্রতি নেতাকর্মীদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এসব আয়োজনে। তৈমূর বলেন, একজন জিয়াউর রহমানের অভাব আজ দেশ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তার অবর্তমানে খালেদা জিয়া এদেশকে আগলে রেখেছেন। স্বৈরাচারী এ সরকার একজন দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। আমরা আমাদের দেশকে আবারো নতুন করে মুক্ত বাতাসের স্বাদ দেয়াবো আমাদের নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করে।
এদেশের মানুষের আজ ভোটের অধিকার নাই, ভাতের অধিকার নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই, আর বাজারের কথা তো নাই বললাম। এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিকল্প নেই। দ্রুতই জনগনের আন্দোলনে এ অবৈধ মসনদ ভেঙ্গে দেয়া হবে।
সভাপত্ত্বি করেন, প্রবীণ বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান, আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মকুল, প্রবীন ও মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ¦ মোঃ নুরউদ্দিন, ফখরুল ইসলাম মজনু, আওলাদ হোসেন, সরকার আলম, জয়নাল আবেদীন, এড. বিলাল হোসেন, এড. আনিসুর রহমান মোল্লা, এড. শরিফুল ইসলাম শিপলু, ফরিদ হোসেন, রানা মুজিব, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মনোয়ার হোসেন শোখন, নাজমুল কবির নাহিদ, রশিদুর রহমান রশো, আওলাদ হোসেন, শওকত খন্দকার, রফিক হাওলাদার, রানা মুন্সি, মোঃ শহিদ, আফতাব আহেম্মদ, মাসুদ আহম্মেদ প্রমুখ।