প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিলসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আজ জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করবে বিএনপি । আর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করবে।কয়েক মাস ধরেই রাজনীতির মাঠ দখলে তাদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছে।রাজধানী ও মহানগর কেন্দ্রিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও ইউনিয়নের পর জেলা পর্যায়েও দুই দলের নেতাদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন। আওয়ামী লীগ অবশ্য স্থানীয়ভাবে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবে।বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের পাল্টা হিসেবে গত বছরের নভেম্বর থেকে আওয়ামী লীগও একই দিন কর্মসূচি পালন করে আসছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের দিন থেকে ক্ষমতাসীনরা রাজপথে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। তখন থেকেই পাল্টা কর্মসূচি শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, কেন্দ্র থেকে জেলা কমিটিগুলোকে কর্মসূচির বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিছু জেলার ইউনিয়ন পর্যায়েও শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীনরা।ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশ করবে। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো বাধা দেবে না। তবে বিএনপির কর্মসূচি থেকে যেন কোনো সহিংসতা চালাতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে আমাদের নেতাকর্মীরা।
দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে আজ শান্তি সমাবেশ করবে যুবলীগও। শুক্রবার সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার দেশের প্রতিটি উপজেলা, থানা, পৌরসভায় যুবলীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ করবে যুবলীগ।বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দফতর বিভাগ থেকে জেলা নেতাদের কাছে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতারা অংশগ্রহণ করবেন। দল থেকে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা পর্যায়ে সমাবেশে বড় ধরনের শোডাউন করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি না পেলেও কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হলে ওই জেলা কমিটিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে জানান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।জেলার পর আগামী ৪ মার্চ মহানগরের থানা পর্যায়ে সমাবেশ করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বিএনপির সঙ্গে সমমনা দলগুলোর লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।