বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে সরকার কে পদক্ষেপ নিতে হবে: সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ

0
বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে সরকার কে পদক্ষেপ নিতে হবে: সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান, শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, “বাঙালি জাতি পৃথিবীতে একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। বাঙালি জাতিকে শোষণ ও দমিয়ে রাখতে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান শোষকশ্রেণী, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর প্রথম আঘাত হানে। বীর বাঙালি ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রথম জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো। আর এই একতার চেতনাই পর্যায়ক্রমে শাসনতন্ত্র আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, অসহযোগ আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যুগিয়েছে।

ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি আমরা তখনই যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারবো, যখন আমরা প্রত্যেকে নিজ ভাষা, সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষায় সচেতন হব। নিজ ভাষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া কোন জাতির স্বনির্ভরতার প্রতীক। বর্তমান যুগে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির গুরুত্ব অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু অপরিহার্য কারণ ছাড়া ব্যবহার করা বা অতিমাত্রায় এর প্রতি নির্ভরতা কাম্য নয়৷ তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এ বাংলা ভাষা শহিদদের রক্তের, অজস্র মানুষের সংগ্রাম, আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। তাই বাংলা ভাষাকে অন্যান্য ভাষার উপরে স্থান দিতে হবে। বাংলা সাহিত্য চর্চা বাড়াতে হবে।”

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী আরো বলেন “১৯৮৭ সালে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন আইন জারি হলেও এখনও উচ্চ আদালতের সিংহভাগ রায়, বিভিন্ন কার্যক্রম ইংরেজিতে হচ্ছে। শতভাগ বাংলা ভাষার প্রয়োগের জন্য যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে তা দূর করতে হবে। কারণ দেশের বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান অঙ্গ। সমগ্র বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সদস্য প্রেরণে প্রথম স্থান বাংলাদেশের। তাই জাতিসংঘকে বাংলা ভাষার প্রতি আন্তরিক হওয়া উচিত।

১৯৭৪ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম বাংলায় ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের ৭ম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাই। কারণ বিশ্বের সর্বোচ্চ প্লাটফর্মে বাংলা ভাষার স্থায়ী অবস্থান থাকলে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।”

২১শে ফ্রেব্রুয়ারি, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলায় তাইনদং হাই স্কুল ময়দানে ‘পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)’ ও হুযুর গাউসুল ওয়ারা হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) স্মরণে আয়োজিত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পেয়ার আহমদ মজুমদারের সভাপতিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাটিরাংগা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহামমদ রফিকুল ইসলাম,সাবেক চেয়ারম্যান মোহামমদ তাজুল ইসলাম,মোহামমদ হুমায়ুন, মোহামমদ শাহীন মেম্বার,মোহামমদ ওমর আলী, মোহামমদ গিয়াসউদদীন, মোহামমদ আলাউদ্দিন, খলিফা আব্দুল মান্নান।

বিশেষ আলোচক ছিলেন, মুফতি বাকি বিল্লাহ্ আল আযহারি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুফতি মাকসুদুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া, হাফেজ মনসুর আলী, হাফেজ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here