প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অহিংস রাজনীতির পথ বেছে নিয়ে দীর্ঘদিন যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দলের নীতিনির্ধারকরা চিন্তা করছেন আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করবেন।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
আগামী সপ্তাহে যুগপৎ কর্মসূচির বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। আগামী সপ্তাহে যুগপৎ কর্মসূচির বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ওই বৈঠক সূত্রে আরো জানা যায়, ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও নতুন কিছু সাদামাটা কর্মসূচি আসবে। ফেব্রুয়ারির শেষে কঠোর কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। নতুন কর্মসূচির মধ্যে গণঅনশন, মানব প্রাচীর ও গণমিছিল হতে পারে।
আর সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার টিকে আছে মিথ্যার ওপর। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনাদের (আওয়ামী লীগ) সময় শেষ হয়ে আসছে। তাই ওবায়দুল কাদের প্রলাপ বকছেন। এরা মিথ্যের ওপর টিকে আছে।তিনি বলেন, এই বৈঠকটি আমাদের রুটিন মাফিক। বৈঠকে আগামী দিনের কর্মসূচি এবং যুগপৎ আন্দোলন আরও কীভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী সমননা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেইসঙ্গে চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও বৈঠকে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের ড. নুরুল আমিন বেপারি, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের ডা. সৈয়দ নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ব্যারিস্টার নাসিম খান প্রমুখ।