প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার পর এখন সরকারি দলের অনেক নেতা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আমাদের ঐক্য দেখে ও আমাদের সংগ্রামী চেতনা দেখে। কর্মসূচি গুলোতে আমাদের অংশগ্রহণ দেখে তারা এখন বিচলিত ও চিন্তিত।তারা এখন চিন্তা করছে কিভাবে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায়।
একটি ভুয়া কথা ছড়িয়ে দিয়ে তারা আমাদের মধ্যে যে ঐক্যতা তাকে বিনিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের কোন কোন নেতাকে আক্রমণ করে তাদের ক্ষতি করে তার দায়ভার আমাদের দল ও নেতৃবৃন্দের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে।সুতরাং আমি আমাদের নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা সজাগ থাকবেন। এতদিন পর আমাদের মধ্যে যে একটি ঐক্যতা তৈরি হয়েছে সে ঐক্য যেন আরও বেশি শক্তিশালী হয়।
আমরা সবাই সবাইকে সহযোগিতা করে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনে ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা নিয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাংস্থ তাজমহল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।তিনি বলেন, আজকে বিএনপিকে কেন আন্দোলন সংগ্রামে যেতে হবে।
কারণ বর্তমান দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের উপর আস্থাশীল না। তারা এদেশের জনগণকে ভয় পায়। কারণ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তারা আর ক্ষমতা আসতে পারবেন না। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগ কে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।তিনি আরো বলেন, এখানকার যারা অনির্বাচিত সংসদ সদস্য এখন তারা পত্রিকার বিবৃতিতে কিছু কিছু কথা বলছেন। তারা বলছেন মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য বা নারায়ণগঞ্জে যাতে মাদক না থাকে সেজন্য তারা দিন তারিখ দিয়ে নামতে চায়।
আমার প্রশ্ন থাকবে ১৪ বছর কারা মাদকের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা সম্পদ আহরণ করে আমাদের সন্তানদেরকে নষ্ট করে আজকে কিসের দিন তারিখ দিয়ে আপনি নামবেন। ১৪ বছর ধরে কি প্রশাসনে বিএনপি ছিল। বিএনপি কি ব্যবসার সম্প্রাসারন ঘটিয়েছে।নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের স্টেডিয়াম অচল। এ অচল কি বিএনপি করেছে নাকি আপনারা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে এটি অচল হয়েছে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মাশুকুল ইসলাম রাজিবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. আহমদ আযম খান। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, জুয়েল আহম্মেদ ।
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আঃ হাই রাজু, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ—সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, গোপালদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিলন, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র সহ—সভাপতি মাসুদুর রহমান,কাঞ্চন পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমার,জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, সাবেক সহ—সভাপতি আমিনুল ইসলাম ইমন, যুগ্ম সম্পাদক রাসেল রানা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া প্রমুখ।