বিএনপি বেশী বাড়াবাড়ি করলে হেফাজতের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে : কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

0
বিএনপি বেশী বাড়াবাড়ি করলে হেফাজতের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে : কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিএনপি বেশী বাড়াবাড়ি করতে চাইলে মতিঝিল থেকে হেফাজত যেরকম পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বিএনপি ও সেরকম পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় খামারবাড়ি কেআইবি মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি কিছুই করতে পারবে না।  সমাবেশে লোক সমাগম কম হওয়ার ভয়ে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরে আছে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হবে। এ বিষয়ে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। কাজেই, সরকারের পতন ঘটাতে চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।মাটির টেকসই ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানীদেরকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মূল সম্পদ হলো মাটি ও পানি। ছোট দেশে বেশি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য এই মাটি থেকে উৎপাদন হয়।

অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটার জন্য মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে, মাটির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেগুলো ভালো ফল দেবে না। আবার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সারও লাগবে। সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেজন্য, মাটির টেকসই ব্যবহার করতে হবে। এখানে বিজ্ঞানীরা দুর্বল ভূমিকা রাখছে। বিজ্ঞানীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনেও হাতেকলমে বা মাঠের শিক্ষা নিতে হবে।কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলামের সঙ্গে মাঠের সম্পর্ক খুবই কম উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে মাঠপর্যায়ে গিয়ে শেখাতে হবে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আধুনিক ডেইরি ফার্ম নেই, পোল্ট্রি ফার্ম নেই। তারা শিখবে কোথা থাকে। অথচ অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ফার্ম আছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কীভাবে শিখাচ্ছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সব সরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রী কৃষিগবেষণা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। কারিকুলাম প্রণয়নে পরামর্শ দেন, কারিকুলাম আপডেট করেন।মন্ত্রী বলেন, অনেকেই চায় অর্গানিক এগ্রিকালচার করতে।

কিন্তু এটা দিয়ে কি এত মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব কি না? আমাদের প্রয়োজন এক বিঘায় ৩০ মণ ধান উৎপাদন করা। কিন্তু শুধু জৈব সার দিয়ে তো এত উৎপাদন হবে না।অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here