বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য যুদ্ধও করতে হবে : মোয়া‌জ্জেম হো‌সেন আলাল

0
বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য যুদ্ধও করতে হবে : মোয়া‌জ্জেম হো‌সেন আলাল

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিএন‌পির যুগ্ন মহাস‌চিব এড. সৈয়দ মোয়া‌জ্জেম হো‌সেন আলাল ব‌লে‌ন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অবস্থা ছিল বর্তমান অবস্থাও এখন তাই। সুতরাং সিদ্ধান্ত আমাদেরকে নিতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন আমাদের নেতা। এখন আমাদেরকে ঘোষণাও দিতে হবে আমাদেরকে যুদ্ধও করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সাথে আছে।

সোমবার (৫ ডি‌সেম্বর) ঢাকা রি‌পোর্টার্স ইউনি‌টিতে বাংলা‌দেশ জাতীয়তা‌বা‌দি মু‌ক্তিযু‌দ্ধের প্রজন্মের ২৬তম প্রতিষ্ঠা বা‌র্ষিকী উপল‌ক্ষে ‘দেশনেত্রী বেগম খা‌লেদা জিয়ার নিঃশর্ত মু‌ক্তি’র দা‌বি‌তে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তি‌নি।আলাল ব‌লেন আওয়ামী লীগ সরকার ধসে পড়বে, যে রকম করে ছাঁদ ধসে পড়ে সেরকম ভাবে। তারা যখন খুশি তখন সিঁদুর চন্দন পরে। আবার যখন খুশি তখন হিজাব পরে। এদের যে বহুরূপী চরিত্র। এই বহুরূপী চরিত্রের মধ্য দিয়েই মানুষ তাদেরকে অবিশ্বাস করা শুরু করেছে। আমাদের আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে থেকেই মানুষের মন থেকে এরা উঠে গেছে।

তিনি বলেন বর্তমানে মানুষ বাজারে গেলে সকালে দেখে লাউয়ের দাম ২৫ টাকা, ২ ঘন্টা পরে গেলে দেখে সেটা ৩০ টাকা, আর বিকেলে গেলে সেটার দাম ৩৫ টাকা। মানুষ এখন মাছের দুই টুকরার বদলে এক টুকরা খাওয়া শুরু করেছে। বহু মধ্যবিত্ত পরিবার এখন মাছ মাংস কিনে খেতে পারেন না। অথচ ভুয়া মন্ত্রীরা বসে-বসে বলছে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন তারা (আওয়ামীলীগ) যে পরিমাণ টাকা-পাচার করেছে সেই পরিমাণ টাকা যদি হিসাব নেওয়া হয়, ওদের পূর্ব পুরুষদের হার কঙ্কাল জড়ো করে কোনো আন্তর্জাতিক মিউজিয়ামে জমা দেওয়া হয়। তারপরেও সেই টাকা শোধ হবে না।

তিনি বলেন তিরিশ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছে এস আলম গ্রুপ। কিভাবে নিয়ে গেছে জানেন? ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভালোভাবে চলেছে। তারপরে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে ইসলামী ব্যাংকে। ২০১৭ সালে ব্যাংকটি দখল করে নিয়ে‌ছে এস আলম গ্রুপ। আর ২০২০ সালে যিনি সোনালী ব্যাংকে লাল বাত্তি জালিয়েছিলেন সেই ফজলে কবীরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হল। তিনি এসেই ইসলামী ব্যাংকের এই পর্যবেক্ষককে সরিয়ে দিলেন। আর বললেন এখন আর পর্যবেক্ষকের দরকার নেই। এই সুযোগটা করে দেওয়ার কারণেই তখন থেকেই ব্যাংক থেকে টাকা পাচার শুরু হয়েছে।

২০২২ এ এসে সেটা চূড়ান্ত রূপে প্রকাশ হয়ে গেছে। এই একটা ঘটনা দিয়েই প্রমাণ হবে বাংলাদেশ আসলে কোন দিকে যাচ্ছে, কি হচ্ছে।সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন আজ কথায়-কথায় তারা (আওয়ামী লীগ) বলে আমরা নাশকতা করব। তারা নিজেরা আগুন জ্বালিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা নিশ্চিতভাবে কথা দিচ্ছি আওয়ামী লীগ যে ধরনের আন্দোলন করেছে আমরা সে ধরনের আন্দোলন করব না। আমরা আওয়ামী লীগের মতো লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মারব না।

তাদের মতো সেরাটনের সামনে গান পাউডার দিয়ে ১১জন মানুষ মারব না। ওই আন্দোলন আমরা করব না। এটার নিশ্চয়তা দিতে পারি। কারণ এই বাংলাদেশটা তৈরির পেছনে আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যত অবদান তত অবদান আপনার ( শেখ হাসিনা) পরিবারের কারও নাই।তিনি বলেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অবস্থা ছিল বর্তমান অবস্থাও এখন তাই। সুতরাং সিদ্ধান্ত আমাদেরকে নিতে হবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন আমাদের নেতা। এখন আমাদেরকে ঘোষণা দিতে হবে, আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সাথে আছে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here