না’গঞ্জে সদর,বন্দর,ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৯৬ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে

0
না’গঞ্জে সদর,বন্দর,ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৯৬ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জে বিএনপি, জামায়তে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।পুলিশ বলছে অভিযুক্তরা অভিযুক্তরা বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর, ক্ষতি সাধনসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো ও সহায়তা করেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক ৩টি মামলায় এরই মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মাঝে ৪ জন নারায়ণগঞ্জ সদরে গ্রেপ্তার হয়েছে, ১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে ফতুল্লায়। বৃহস্পতিবার ৩ থানায় ৩ জন উপ-পরিদর্শক দাবি হয়ে মামলা গুলো করেছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম মামলা করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলো-নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভুঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ুর, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা আনিস, বিএনপি নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদল নেতা মাসুম গাজী, বিএনপি নেতা আফজাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, আজকে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। তবে, কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।একই ভাবে ফতুল্লা মডেল থানায় বিএনপির ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

ফতুল্লা থানায় অভিযুক্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, শহিদুল ইসলাম টিটু, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবর, বিএনপি নেতা আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, এনামুল হক মামুন, হান্নান মিয়া, ইসমাইল হোসেন, শহিদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন খান, জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আমির হোসেন, মিঠু, রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাহ হোসেন, ইকবাল, জুয়েল আরমান, নয়নসহ অজ্ঞাত ৫০ জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, মামলায় ১নং আসামী ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবরকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ জনের নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- দীগু বাবুর বাজার এলাকার শওকত হোসেন (৫০), মোঃ হারুন অর রশিদ (৫০), নলোয়াপাড়া এলাকার হাসিবুল ইসলাম সাঈদ (৩৫), আশিকুল ইসলাম সাজিদ (৩২), তল্লা ছোট মসজিদ এলাকার মনির হোসেন সরদার (৫০), কিল্লারপুলের ফারুক হোসেন (৫৫), নগর খানপুরের মনিরুল ইসলাম সজল (৪৫), খানপুর ব্রাঞ্চ রোডের ৮. মোঃ সাহেদ (৩৫), খানপুর বাজার মোঃ রহমান (৪২), খানপুর এলাকার মোজ্জামেল (৪৩), খানপুর ব্রাঞ্চ রোডের বাবু (৪৫), গলাচিপার আনোয়ার মাহামুদ বকুল (৪০), হারুন (৪৮), গলাচিপা মন্দিরের সামনের ফারুক মাল্লা (৪২), মিনাবাজার টানবাজারের কে এম মাজহারুল ইসলাম ওরফে জুসেফ (৪৫), নতুন জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর মোঃ শাহ আলম (৩৫), বাবুরাইলের ফয়সাল (৩৬), দেওভোগের লিংকন খান (৩৮), জল্লাড়পাড়ের সেলিম মোল্লা (৫০), নয়াপাড়ার গাল কাটা জাকির (৪০), পাইকপাড়ার আক্তার হোসেন অপু (৪২), আমহাট্টা জল্লারপাড়ের মোহাম্মদ আলী (৪৮), মধ্য নলুয়ার এম হান্নান মামুন (৫০), ডিস মিঠু (৪০), নলুয়ার শাহজালাল সরদার (৪৫), মো. আরিফ হোসেন (৩৬), মধ্য নলুয়ার কাজী সেজান (৪০), শহীদ নগরের তোফাজ্জল হোসেন টিয়া (৫৫), মধ্য নলুয়ার জুয়েল নূর (৪৫)।
এছাড়াও আরও অজ্ঞাত নামা ৩০-৪০ জন রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ১৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আরও ৭টি মামলা হয়েছে। এ সব মামলায় আসামী করা হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here