আউলিয়ায়ে কেরামের দরবারে মানুষকে আত্মশুদ্ধি অর্জনেরই শিক্ষা দেয়া হয়: সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আলহাসানী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন: আল্লাহ পাকের রহমত কামনা এবং বিশ্বজুড়ে মানবতার এই দুঃসময়ে মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে গাউছুল আ’যম হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.)’র তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ওরশ শরীফ  ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। লাখো আশেক ভক্ত জনতা ওরশ মাহফিলে অংশ নিয়ে মিলাদ, পবিত্র মাজার সমূহে জিয়ারত ও আখেরি মুনাজাতে শামিল হন।

সভাপতির বক্তব্যে পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজ প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে শরীয়ত ও ত্বরীক্বত শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) বলেছেন,, মানুষ যখন অশান্তি অবিচার ও জুলুমের প্রান্তসীমায় উপনীত হয়, তখন সাধক বুজুর্গ ওলীদের শরণাপন্ন হয় পরিত্রাণের আশায়। তাই, বর্তমানে নিপীড়িত মানবতার পরিত্রাণ কামনায় ওলী বুজুর্গের প্রদর্শিত দয়া, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার শিক্ষা মনে প্রাণে গভীরভাবে ধারণ করতে হবে।
হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আজীবন ফরিয়াদী মুক্তিকামী মানুষের কল্যাণে উৎসর্গীত ছিলেন। হুজুর কেবলা আরো বলেন, এ বছর বাবাভাণ্ডারী কেবলার পবিত্র ওরশ শরীফ মাহে রমজানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা ভক্ত জনতার জন্য আরো আনন্দের। কারণ পবিত্র মাহে রমজান হলো রহমত নাজাত ও মাগফিরাতের মাস। আল্লাহর ওলীগণও আল্লাহর পক্ষ থেকে পাপি-তাপি, গুনাহগার বান্দার নাজাতের উসিলা। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধিই অর্জন করে। আর আউলিয়ায়ে কেরামের দরবারে মানুষকে আত্মশুদ্ধি অর্জনেরই শিক্ষা দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অতি লোভে পড়ে দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি ও খাদ্যে ভেজাল মেশায়। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে অমার্জনীয় অপরাধ। ব্যবসাকে আল্লাহপাক হালাল করেছে আর সুদকে করেছে হারাম। সৎ ব্যবসায়ী হাশরের মাঠে নবী-রাসূল, আউলিয়ায়ে কেরাম ও শহীদ সিদ্দিকীনদের সাথে থাকবেন। অসৎ ব্যবসায়ীদের চির আবাস হবে জাহান্নাম। তিনি রমজানে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে মানুষকে কষ্ট না দেয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন।
অতিথি ও আলোচক ছিলেন, সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন  মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল আজহারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী,  হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি খলিফা আব্দুল মান্নান, মইনীয়া জাতীয় গণ মাধ্যম ফোরামের যুগ্ম আহ্বয়াক মহি উদ্দীন আহমেদ, সদস্য সচিব শাহ মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসলাম হোসাইন, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা নঈম উদ্দীন প্রমুখ।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here