সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ দখলের প্রতিবাদে আইনজীবীদের প্রতীকী অনশন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক:সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদ দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রতীকী অনশন করেছেন আইনজীবীরা। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট আয়োজিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে প্রায় তিন শতাধিক আইনজীবী অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদ দখলের প্রতিবাদ জানান।

দুপুর আড়াইটায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আইনজীবীদের অনশন ভাঙান। এসময় জয়নুল আবেদীন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে কখনো এমন হয়নি। আমরা কখনো দেখিনি হাত জাগিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়। এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আদালতের ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি হয় না। এটা সর্বোচ্চ বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। এটা একটা সম্মানিত জায়গা। আমাদের সবার বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষা করা উচিৎ।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া সভাপতিত্বে বেলা ১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে আরো অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, অনির্বাচিত কাউকে সভাপতি মানবে না আইনজীবীরা। এর বিরুদ্ধে আইনজীবীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

গত ৪ মে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সভা শুরুর সাথে সাথে সমিতির সহ-সভাপতি শফিক উল্ল্যাহ নিজেকে সভার সভাপতি উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল ও সাবেক সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনকে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত করার ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা তা সমর্থন করেন।

এতে হৈচৈ শুরু হয় এবং সভা শুরুর পর এতে কে সভাপতিত্ব করবেন তা নিয়ে হৈচৈ, হট্টগোল ও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কার্যনির্বাহী কমিটিভুক্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক পক্ষের আইনজীবীরা। এরপর সেই সভা মুলতবি করেন সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এরপর থেকে সভাপতির চেয়ারে অনির্বাচিত কাউকে বসার বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here