প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি। তিন বছর আগে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করা হয়েছিল জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি। পরবর্তীতে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়।
২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি করে ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা এবং আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কালামকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এ কমিটি দীর্ঘ ৩ বছর সময়ে কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির আন্দোলন কিংবা অন্য কোন আন্দোলনে সংগঠন দুটির নেতাকর্মীদের তেমনভাবে মাঠে পাওয়া যায়নি।
আর তাই জেলা ও মহানগর বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের উপর থেকে দিন দিন আস্থা হারাচ্ছে দলের নেতাকর্মীরা। রাজপথে না নামা, নেতাকর্মীদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানা কারণে এখন আর তাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন দলটির নেতাকর্মীরা। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দ্বন্দ্ব বিভক্তির ফলে পৃথক পৃথক ব্যানারে দলীয় কর্মসূচি পালনের নানা দৃশ্য দেখা গেছে। সেই দ্বন্দ্ব কোন্দল এক পর্যায়ে বিরাটাকার ধারণ করে। দ্বন্দ্ব কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ঘটে দলটির মহাসচিব সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়ার মধ্য দিয়ে। এরই মধ্যে মহানগর বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত কমিটির উপর স্থিতি অবস্থা জারি করেছে।
ইতোমধ্যে একাধিক মামলায় গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে একেবারেই নীরব অবস্থায় রয়েছেন। আন্দোলনে মাঠে থেকে কারাগারকে বরণ করতে তাদের কোন আপত্তি নেই বলেও জানাচ্ছেন তারা তবে রাজপথে নামছেন না কেউই। তবে কারাগার থেকে বের হয়ে নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে এবং পুনরায় কারাগার এড়াতে মুক্ত থাকছেন দলীয় কর্মসূচীগুলো থেকে।
একই অবস্থা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ক্ষেত্রেও। সভাপতি একেবারেই নীরব হয়ে রয়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজেই বেশি সময় দিচ্ছেন।
সব মিলিয়ে বর্তমান জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটির প্রায় সকল নেতারাই নেতৃত্ব প্রদানে ও রাজপথে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রমান করতে না পারলেও অযোগ্য ও চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হিসেবে জেলা ও মহানগর বিএনপির একটি কমিটির নজির রেখে যাচ্ছেন বলেই নেতাকর্মীদের অভিমত।
এ ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার জানান, কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। এখানে কেন্দ্র দলবাজি করেছে, যদি রাজপথের নেতাকর্মীদের দিয়ে জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হতো তাহলে আজকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এমন চিত্র দেখতে হতোনা। আমরা কমিটিতে থাকতে লাঠি, গুলির মধ্যেই রাজপথে ছিলাম।