প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পুরনো দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিহারি ক্যাম্পে গণসংযোগে জনতার জোয়ার নারায়ণগঞ্জ–০৩ এ ‘মাথাল’ মার্কার পক্ষে অঞ্জন দাসের শক্তি প্রদর্শন নারায়ণগঞ্জ–০৩ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতীক ‘মাথাল’ মার্কায় মনোনীত গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপ্রধান ও গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী জননেতা অঞ্জন দাস আজ সিদ্ধিরগঞ্জ বিহারি ক্যাম্পে ব্যাপক গণসংযোগ পরিচালনা করেন।
গণমানুষের অধিকার, শ্রমিক-অধিকার, নাগরিক নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এই গণসংযোগে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ ও সমর্থন ছিল অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ও তাৎপর্যপূর্ণ। গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার মহানগর কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান ও সম্পাদক মোঃ সোহাগ, ৬ নং ওয়ার্ডের সংগঠক আলামিন, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নারী সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নাজমা বেগম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সাইদুর রহমান এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব রায় সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় কর্মীরা।
গণসংযোগ চলাকালে জননেতা অঞ্জন দাস বলেন, “আমরা এই এলাকার মানুষের কাছে এসেছি তাদের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা, কষ্ট, প্রত্যাশা এবং ন্যায্য দাবিগুলো সরাসরি শুনতে ও রাজনৈতিকভাবে তার প্রতিকার গড়ে তুলতে। বিগত সময়ে যেসব রাজনৈতিক শক্তি এই এলাকা শাসন করেছে তারা জনগণের সাথে কোনোদিনই সত্যিকারের সম্পর্ক গড়ে তোলেনি; উন্নয়নের নামে বৈষম্য, ক্ষমতার নামে দাপট এবং রাজনীতির নামে প্রতারণাই করেছে।
আমরা সেই পুরনো ভাঙা রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে জনগণকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনীতি গড়ে তুলতে চাই। নারায়ণগঞ্জ-০৩ আসনের প্রতিটি পরিবার, শ্রমিক, নারী, যুব, ছাত্র এবং প্রান্তিক মানুষের অধিকার নিশ্চিতে ‘মাথাল’ মার্কাই গণমানুষের নিরাপদ আশ্রয়। জনগণের শক্তি ছাড়া কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়, আর সেই শক্তির সঙ্গে আমরা আছি, মাঠে আছি এবং মানুষের জীবনের প্রশ্নে আপস করব না।
তিনি আরও বলেন, “গণসংহতি আন্দোলন কারো দয়ার রাজনীতি করে না, কারো নির্দেশে চলে না। আমরা জনগণের রাজনীতি করি এবং জনগণের সংগঠিত শক্তির পথেই এগোই। নারায়ণগঞ্জ–০৩ এ জীবন-নিরাপত্তা, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ, ন্যায়বিচার, শ্রমিকের অধিকার এবং মানবিক নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”





