একটা দলের নেতারা দিনভর বিএনপিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে, রাতে নেতাদের বাসায় গিয়ে ধর্ণা দেয় : আব্দুল কাদের

0
একটা দলের নেতারা দিনভর বিএনপিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে, রাতে নেতাদের বাসায় গিয়ে ধর্ণা দেয় : আব্দুল কাদের

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ একটা দলের নেতারা দিনভর বিএনপিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে, আর রাতের বেলায় বিএনপি নেতাদের বাসায় গিয়ে ধর্ণা দেয়। আসন নিশ্চিত হইলে তথাকথিত আপোষহীন নেতাদেরও বিক্রি হইতে সমস্যা নাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি বলেন, ‘একটা দলের নেতারা দিনের বেলায় হাঁক-ডাক ছাড়ে, দিনভর বিএনপিরে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে; আর রাতের বেলায় বিএনপির নেতাদের বাসায় গিয়ে ধর্না দেয়! মিডিয়ায় গলাবাজি করা আপোষহীন ঐ নেতা এবং তাঁর ইমাম সাহেব গত পনের দিনে বিশটা সিটের জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সাহেবের বাসায় ৩ বার মিটিং করেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের বাসায় ধর্না দিয়েছেন এখন পর্যন্ত  ১ বার! ’ তিনি আরও বলেন, ‘আসন সমঝোতায় ব্যাটার ন্যাগোসিয়েশানের কৌশল হিসেবে এমন উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন ঐ তথাকথিত আপোষহীন নেতা।

আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে ঐ নেতা আবার সেটা বলেও বেড়াচ্ছেন। অথচ গণ-অভ্যুত্থানের পরের চিত্র কেমন ছিল! পুরানা রাজনৈতিক দলগুলা তরুণদের কাছে আসবে, তরুণ থাকবে ড্রাইভিং সীটে। কিন্তু খোদ ইমামরা গিয়ে বসে থাকেন বিশটা সীটের জন্য! আসন ভাগানোর কৌশল হিসেবে মিডিয়ায় গালি-গালাজ করে বেড়ান; বাসায় গিয়ে বসে থাকেন; তবুও আসন মিলে না! হা হা হা…’আব্দুল কাদের বলেন, ‘বন্ধু বন্ধু বলে একদিকে ব্ল্যাকমেইল করে; অন্যদিকে মাইনাস করে। গুটিকয়েক মানুষের মধ্যে দল কুক্ষিগত করে।

মনোভাব এমন যে, নিজের আসনসহ চাহিত আসন নিশ্চিত হইলে তথাকথিত আপোষহীন নেতাদেরও বিক্রি হইতে সমস্যা নাই। কিন্তু তাদের মাইনাস আর অপরাজনীতির শিকার কেউ স্বাধীনভাবে রাজনৈতীক সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেই তাদেরকে লাল টুকটুকে স্বপ্ন বিক্রির অপবাদ দেওয়া হবে। যেই ২০ জনের জন্য সিট চাওয়া হয়েছে সেই তালিকাটা এখন আর দিলাম না। দলের ক্ষমতা কুক্ষিগত, মাইনাসের রাজনীতি আর কোরামবাজির বাজে অবস্থা দেখলে দলের বাকিদেরও ঘুম ভাঙবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here