প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। শীঘ্রই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে। নির্বাচনের ব্যাপারে সব ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সরকারি ও বেসরকারি মোট সাতটি মাধ্যম থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এসব তথ্য পর্যালোচনা করে ১৮০ থেকে ২০০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সবুজ সংকেত দিতে যাচ্ছেন। দুই মাস ধরে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথাও বলেছেন তারেক রহমান। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সরকারি ও বেসরকারি দুই মাধ্যম থেকেই তথ্য সংগ্রহ করছেন তিনি। সরকারি তিনটি মাধ্যম হলো জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। এই তিনটি সংস্থার কাছ থেকে কোন নির্বাচনি আসনে কোন নেতার জনপ্রিয়তা কেমন, এটি জানার পাশাপাশি নেতাদের ইমেজের বিষয়েও তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন।
বেসরকারি চারটি মাধ্যমের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ছাত্রদলের নিরপেক্ষ নেতাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। বিশেষ করে সংগঠনটির বড় কোনো পদে নেই, আবার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথাও ভাবছেন না, এমন নেতাদের মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সারা দেশে বিএনপিপন্থি শিক্ষক সমিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি মনে করেন, শিক্ষকরা তুলনামূলক নিরপেক্ষ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমসহ বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী সাংবাদিকদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এছাড়া তারেক রহমানের আস্থাভাজন তথা ব্যক্তিগতভাবে ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকেও মতামত নেওয়া হচ্ছে, বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, এসব মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহের পর যারা মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন, তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তবে যেসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী একাধিক প্রার্থী নেই, তাদের অনেককে ইতোমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া যেসব আসনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী আছে, তাদেরকে গুলশান অফিসে ডেকে সতর্ক করে বলা হচ্ছে যে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে কাজ করতে হবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে সংকেত পাওয়া নেতাদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। নির্বাচনি আসনে সবুজ সংকেত পাওয়া নেতারা যদি সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে না পারেন, গ্রুপিং-কোন্দলে জড়িত হন, তাহলে তারা ‘রেড জোন’-এ পড়তে পারেন। অর্থাৎ তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজে এরই মধ্যে একাধিক মাঠ জরিপ করা হয়েছে। সেই জরিপের ফল এবং দলের নীতিনির্ধারণী নেতাদের মতামত ও তৃণমূলে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রার্থী তালিকা অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনি আসনে কে বেশি জনপ্রিয়, কার জয়লাভের সম্ভাবনা বেশি, সেটাই দেখা হচ্ছে। যাকে দিলে আসন নিরাপদ হবে, তাকেই এবার মনোনয়ন দেওয়া হবে।
জরিপ টিমের ফলাফলের ভিত্তিতে মনোনয়ন বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ, গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। এখন আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। শীঘ্রই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেব। তবে সেটি অফিসিয়াল হবে তফসিল ঘোষণার পরে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘প্রার্থীদের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। এর মাধ্যমে এলাকায় কার কী অবস্থান, জনপ্রিয়তা কেমন, তা জানা যায়। প্রার্থীদের সবুজ সংকেত আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হবে। তবে কবে দেওয়া হবে, তা আগাম বলা কঠিন।যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, ‘খুব শীঘ্রই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। তবে সেটা চূড়ান্ত নয়। তফসিল ঘোষণার পর পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত মনোনয়ন দেব।জানা গেছে, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জনকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
এরা হলেন নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ আসনে জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ আসনে বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৬ আসনে সাবেক এমপি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, ফেনী-১ আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ফেনী-২ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), ফেনী-৩ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, কক্সবাজার-১ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, কক্সবাজার-৩ আসনে সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে মীর হেলাল প্রমুখ। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা সবুজ সংকেত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বরিশাল বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সম্প্রতি ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন তারেক রহমান।
এই বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নান্নু। এই বিভাগের কয়েকজনকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি আসনে দুজন করে প্রার্থী রয়েছেন।
বরিশাল-১ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বরিশাল-২ আসনে বিএনপির নির্বাহী সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বরিশাল-৩ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, বরিশাল-৪ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল-৫ (সদর) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবর রহমান সরোয়ার ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজন, ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ও হায়দার আলী লেলিন, ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইব্রাহীম, ভোলা-৩ আসনে স্থায়ী কমিটির মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ভোলা-৪ আসনে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম, পটুয়াখালী-১ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল আলম তালুকদার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, পটুয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, বরগুনা-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, বরগুনা-২ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল ও নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, ঝালকাঠি-২ আসনে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু ও সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, পিরোজপুর-১ আসনে সাবেক আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান, পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদ হোসাইন ও ব্যবসায়ী ফখরুল আলম, পিরোজপুর-৩ আসনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলাল ও মঠবাড়িয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় থাকা নেতাদের মধ্য থেকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে।
এছাড়া ঢাকা-৪ আসনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ, ঢাকা-৮ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১৩ আসনে জোট শরিক এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-১৪ আসনে যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা-১৫ আসনে যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, ঢাকা-১৬ আসনে উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, ঢাকা-১৭ আসনে জোট শরিক বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা-৬ আসনে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও বিএনপির সমাজ কল্যাণবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সিলেট-২ আসনে তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, সিলেট-৩ আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম, সিলেট-৫ ফাহিম আল চৌধুরী, কুমিল্লা ২ আসনে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, জামালপুর-১ আসনে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, টাঙ্গাইল-৫ আসনে প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যশোর-৩ আসনে খুলনার সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ড. এম এ মহিত, খুলনা-৩ আসনে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনে তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঝিনাইদহ-৪ আসনে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নরসিংদী-৩ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, মাগুরা-২ আসনে নিতাই রায় চৌধুরী, কাজী সলিমুল হক কামাল ও যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, পঞ্চগড়-১ আসনে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, বগুড়া-৫ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, নেত্রকোনা-৪ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পাবনা-২ আসনে এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩ আসনে কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব, পাবনা-৫ আসনে অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ, ফরিদপুর-৪ আসনে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, যশোর-৬ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, শেরপুর-১ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হযরত আলী, ময়মনসিংহ-১ আসনে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নেত্রকোনা-১ আসনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, টাঙ্গাইল-২ আব্দুস সালাম পিন্টু, টাঙ্গাইল-৩ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে সমমনা জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, নরসিংদী-৫ আসনে বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দীন বকুল ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, খুলনা-১ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি পার্থদেব মন্ডল, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি কে মাঠপর্যায়ে কাজ করার জন্য দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এছাড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী অথবা বগুড়ার যেকোনো একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। (সূত্রে ব্রেকিংনিউজ)





