প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা: বাগেরহাটের রামপালে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন ও সদস্যসচিব কাজী জাহিদুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে। এতে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও অংশ নেন বলে দাবি বিএনপি নেতাদের।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আল আমিন, আজমল শেখ, শহিদ ব্যাপারী, আবুল কালাম, বাবুল শেখ, শামীম শেখ, আহম্মদ আলী, ইসমাইল শেখ, আশরাফ আলী, তাহিদুল ইসলাম, হোসাইন শেখ, তারেক শেখ, ফারুক হোসেন, আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম, মাহিদ শেখ ও নজরুল ইসলাম। তাঁরা রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় শহিদুল ইসলাম, মাহিদসহ ৮ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম বলেন,ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন আমাদের লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এর জেরে তিনি ও তাঁর লোকজন আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকিও দিয়েছেন। সকালে তাঁর অনুসারী আশা, মনা, মিশকাত ও ছাত্রদল নেতা আবু তালেব আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১৬ জন আহত হন। হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরাও অংশ নেন।
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন,আহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা ছাত্রদল নেতা আবু তালেবের বাবা নজরুল ইসলামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছেন বলে শুনেছি। ছাত্রদল নেতা আবু তালেব এখনো আমাকে মারধরের হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশকে পুরো বিষয় জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা আবু তালেবের বাবাকে মারধর করেছে একটি পক্ষ। এ নিয়ে মূলত ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হালিম পাটোয়ারি ও সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলামের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি এবং অনুসারীদের শান্ত থাকতে বলেছি।’ রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা বা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।