অধ্যাপক মামুন মাহমুদ না’গঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ায় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ

0
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ না’গঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ায় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদ্যের কমিটি ঘোষণা করায় জেলা জুড়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের
নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন থানায় আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদের  বাস ভবনে এসে ফুলের তোরা দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। নেতাকর্মীদের ফুলে ফুলে সিক্ত হোন মামুন মাহমুদ। দলীয় সূত্র জানায়,অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক, মুস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূঁইয়া ১ নং য়ুগ্ন আহ্বায়ক, মাশেকুল ইসলাম রাজীব ও শরীফ আহম্মেদ টুটুল যুগ্ন আহ্বায়ক এবং মো. গিয়াস উদ্দিনকে সদস্য করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গঠন নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে কমিটি গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, বন্দর, আড়াইহাজার থানা এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। তারা তাৎক্ষনিক আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। জেলার বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বাস ভবনে এসে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি সোহেল রহমান জানান, ১৯৮২ সালে বিএনপির চিটাগং রোড আঞ্চলিক কমিটির মাধ্যমে মামুন মাহমুদের রাজনীতি শুরু। এর পর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে দিন দিন তিনি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেন। দায়ীত্ব পান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্র দলের সভাপতি ও থানা যুব দলের সভাপতি, জেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা যুব দলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুব দলের সহ-ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক (স্বাক্ষর ক্ষমতাসহ), সর্বশেষ হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। তিনি পেশায় কলেজ শিক্ষক।

বর্তমানে তিনি সোনারগাঁও ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। তার রাজনৈতিক জীবনে প্রথম গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন ১৯৯৭ সালে। গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ বছরে অসংখ্যবার তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগকরেন। তার বিরুদ্ধে ৫০ টির বেশি মিথ্যা মামলা হয়। তবু তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় রাজপথে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি একজন ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতা হিসেবে সকলের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here