প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিএনপির কাছে জাতীয় সরকারের রূপরেখা চায় যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও গণঅধিকার পরিষদ (ফারুক)। তারা আগামী দিনে নির্বাচনি কৌশল কী হবে, জাতীয় সরকার কোন পদ্ধতিতে গঠন হবে, শরিকদের কত আসন ছাড় দেওয়া হবে তা জানতে চায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় দল দুটি। এর উত্তরে অনেকটা কৌশলী জবাব দিয়ে বিএনপির নেতারা বলেছেন, এখনই সবকিছু পরিষ্কার করার সময় আসেনি। এখনো আওয়ামী লীগের কাছে তথ্য পাচার করা হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন অন্তর্বর্তী সরকার যে সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছে তার সময়সীমা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু জনগণের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামী নির্বাচন। কী কারণে এত দেরিতে নির্বাচন হবে তাও বুঝতে পারছি না। বিভিন্ন জনের নানা রকমের মন্তব্যের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন আমরা মনে করি, আমরা যে যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছিলাম, সেই বিষয়টি (নির্বাচন) তার মধ্যে দেখতে পাচ্ছি না।
আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী দিনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সংস্কার প্রয়োজন তা সবার আগে হওয়া উচিত ছিল। এরপর নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। মূলত সংস্কার হতে হবে সংসদে। জনগণের আস্থা ও ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কার করতে হবে। সুতরাং আমরা মনে করি, এখন নির্বাচনের আগে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) কী সংস্কার করতে পারে, তা দেখার বিষয়। তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেসব বিষয়ে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না সেগুলো আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে করতে হবে। সুতরাং সংস্কারের নামে নির্বাচন দেরিতে করার প্রয়োজন নেই।
আমরা জাতীয় সরকারের গঠন করে ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন করব। দ্রুত নির্বাচনের জন্য বিএনপি আন্দোলন করবে কি না জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গণতান্ত্রিক পথে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। অনেক সংঘর্ষ হয়েছে, দেশের মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেশের মাটিতে যেন আর কখনো না হয় আমরা সেই চেষ্টাটা করছি। সেটা সফল হবে যত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যায়। দ্রুত গণতান্ত্রিক অর্ডার দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এনডিএমের সভাপতি ববি হাজ্জাজ বলেন সামনের নির্বাচন, সংস্কার ও ঐক্য আমরা কীভাবে দেখতে চাই তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা যৌক্তিক একটা সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেখতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা পরিষ্কার একটা রোডম্যাপ চাই। নির্বাচনের জন্য সময় ক্ষেপণের কোনো প্রয়োজন নেই। গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান বলেন নির্বাচন কবে হতে পারে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে পরিষ্কার রোডম্যাপ না পাওয়ার কারণে আমরা ধোঁয়াশার মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা চাই অতি দ্রুত জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। নির্বাচিত সরকার জনগণের প্রত্যাশিত সংস্কার পার্লামেন্টের মাধ্যমে করবে।
